Margins
Humayun Ahmed (Chronological List) book cover 1
Humayun Ahmed (Chronological List) book cover 2
Humayun Ahmed (Chronological List) book cover 3
Humayun Ahmed (Chronological List)
Series · 232
books · 1970-2016

Books in series

সৌরভ book cover
#4

সৌরভ

1984

জোছনার ছাদ ভেঙে পাখিরা যাচ্ছে উড়ে যাক বাতাসে বারুদ স্মৃতি থাকে অনুভবে।
দেবী book cover
#6

দেবী

1985

Sorry!! There is no description about this product.
নিশীথিনী book cover
#7

নিশীথিনী

1988

মিসির আলি সিরিজের বই। "নিশীথিনী" হচ্ছে "দেবী" এর দ্বিতীয় পর্ব।
ফেরা book cover
#8

ফেরা

2006

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
সূর্যের দিন book cover
#9

সূর্যের দিন

1986

Sorry!! There is no description about this product.
আগুনের পরশমণি book cover
#10

আগুনের পরশমণি

1989

১৯৭১ সালের মে মাস। অবরুদ্ধ ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ছুটছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্র হতাশা, তীব্র ভয়ে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ। অবরুদ্ধ ঢাকার একটি পরিবারের কর্তা মতিন সাহেব ট্রানজিস্টার শোনার চেষ্টা করছেন মৃদু ভলিউমে। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছেন ট্রানজিস্টারের। হঠাৎ শুনতে পেলেন বজ্রকণ্ঠের অংশ বিশেষ : ‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি / রক্ত আরও দিবঃ / এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম / এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।মতিন সাহেবের পরিবারে কয়েকদিন পর হাজির হন উনার বন্ধুর ছেলে বদি। বদি এবং তার সাথের মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক অভিযান করে সফলতা লাভ করে। কিন্তু এক এক করে তারা পাক বাহিনী র হাতে বন্ধী হয়। ধরা পড়েও গেরিলাযোদ্ধা রাশেদুল করিম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থু থু ছিটিয়েছেন পাকিস্তানী মেজরের মুখে। হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে তাঁর। মাথা নোয়াননি। অবশেষে বদি গুলি খান। তাকে সারানোর মত ডাক্তার ঔষধের এর জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তিনি কি পারবেন সকাল পর্যন্ত বাচতে? তিনি কি আরেকটি সূর্যালোক দেখতে পাবেন? এভাবেই শেস হয় কাহিনী।
অন্যভুবন book cover
#11

অন্যভুবন

1987

Sorry!! There is no description about this product.
আকাশ জোড়া মেঘ book cover
#12

আকাশ জোড়া মেঘ

1988

বিশাল ধনাঢ্য পরিবারের একমাত্র মেয়ে অপালা। তবে সেই বিশাল বাড়িতে একাকীত্বের সঙ্গী সে । বাবা ফখরুদ্দীন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে বছরের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কাটান তিনি। অপালার মা হেলেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি এখন লন্ডনের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। অপালাদের বাড়ির ইন্টিয়ার ডিজাইনিং এর কাজে ফিরোজ আসে তাদের বাসায়। ফিরোজ পেশায় হাউস ডেকোরেটর। সেখানেই তার সাথে অপালার প্রথম পরিচয় ঘটে। ফিরোজ কথায় কথায় মিথ্যা বলে। আপালা বুঝতে পারে, সে মিথ্যেবাদী। তবুও অকারনেই তার প্রেমে পড়ে যায় সে। ফিরোজের দৃষ্টিতে অপালা ভিষণ অহংকারী। কিন্তু তারপরও সে তার প্রতি অন্যরকম এক আকর্ষণ অনুভব করে সে। নানা বাহানায় বারবার ছুটে আসে অপালার কাছে। এর মধ্যেই ঘটে যায় আরেক ঘটনা। বাড়িওয়ালার বাড়ি ছাড়ার নোটিশ বাতিল করানোর জন্য সে এক মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তারপর নিজেই জড়িয়ে যায় তার জালে। একাকীত্বের মধ্যে দিন কাটতে থাকে অপালার। এর মধ্যে একদিন তার বাবার অফিসের এক কর্মচারী আসে, তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে। কোন এক অদ্ভূত কারণে অপালা নিজেই একটি উপহার নিয়ে হাজির হল হয় সেই দরিদ্র লোকটির বাড়ি। আর সেখানেই সে সন্ধান পায় এক ভয়াবহ সত্যের। মুহুর্তেই ওলটপালট হয়ে যায় তার জীবনের সব কিছু।
ইরিনা book cover
#13

ইরিনা

1988

প্রিয়তমেষু book cover
#14

প্রিয়তমেষু

1988

"প্রিয়তমেষু" উপন্যাসের শুরু খুব ছোটখাটো সাধারণ দুটি পরিবার নিয়ে। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিশাত এবং পুষ্প। এই নিশাত আর পুষ্পের সংগ্রামী এক কাহিনী নিয়েই লেখা "প্রিয়তমেষু" উপন্যাস। নিশাত বেশ অবস্থাসম্পন্ন সচ্ছল ঘরের মেয়ে। শিক্ষিতা, রুচিশীল একজন নারী। নিশাতের স্বামী জহির। দুজনের ঝামেলাহীন সুখের সংসার। পুষ্প নিশাতের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে। নিশাতের প্রতিবেশী। অল্প বয়সী একটা মেয়ে পুষ্প। পুষ্পের স্বামী রকিব আর একমাত্র ছেলে পল্টুকে নিয়ে তার সংসার। পুষ্পের স্বামীর একটা ছোটখাটো চাকরি। রকিবের এক আত্মীয় তাদেরকে তিন মাসের জন্য এই ফ্ল্যাটে থাকতে দিয়েছে। নাহলে তাদের এতো বড় ফ্ল্যাটে ভাড়া দিয়ে থাকার সামর্থ্য নেই। দুই পরিবারের অার্থিক অবস্থা আলাদা হলেও পুষ্প এবং নিশাতের ভিতর আপন বোনের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিশাতের কোন বাচ্চাকাচ্চা না থাকায় পুষ্পের ছেলে পল্টুকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখে, তাকে নিয়ে ঘুরতে যায়। ভালোই দিন চলতে থাকে! মিজান, পুষ্পের স্বামী রকিবের এক বন্ধু। মিজান পুষ্প-রকিবদের একটা বাসা খুজেঁ দিতে চায়। সময়-অসময়ে বাসায় এসে হামলা চালায়। স্বামীর বন্ধু বলে পুষ্প মুখ বুজে সহ্য করে। সেই মিজানই এক নির্জন দুপুরে ধর্ষণ করে পুষ্পকে। পুষ্পের স্বামী সব জেনেও পুষ্পকে নিয়ে থানায় যেতে চায় না লোক-লজ্জার ভয়ে। সে কোনভাবেই বন্ধুর নামে মামলা করতে চায় না। পাশের বাসার সেই পাতানো বোন নিশাতের হাত ধরে পুষ্প থানায় যায়। পুষ্পের এই ব্যাপারে নিশাতের জড়িয়ে পড়াটা ঠিক মেনে নিতে পারে না জহির। এমনকি নিশাতের বাবাও তাকে না করে। কিন্তু তবুও নিশাত এগিয়ে যেতে চায়, শেষ দেখতে চায় এই কাহিনীর। পুষ্প, নিশাত একাই লড়তে চায় সেই অমানুষের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত কি হয় তাদের? সেই কাহিনী জানার জন্য পড়তে হবে
অনন্ত নক্ষত্র বীথি book cover
#15

অনন্ত নক্ষত্র বীথি

1988

টিভি প্রোগ্রাম মনিটর কার্যক্রমের অতি সামান্য এক কর্মচারী। ছিমছাম সাদামাটা জীবন তাঁর। কাজ শেষ করে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে টিভি সেট খুলে বসাতেই তাঁর আনন্দ। রান্নাবান্নারও কিছু শখ আছে। আর আছে ভালোবাসার একজন মানুষ - নিকি। এই ছিমছাম দিনযাপনের মাঝে হঠাৎই একদিন এসে উপস্থিত হলো একটি চিঠি। ওপরে সোনালী রঙের ত্রিভুজের ছাপ দেয়া চিঠিটি যেনো এলো দুর্যোগ হয়ে। এক নিমিষে ওলটপালট হয়ে গেলো তাঁর সাজানো সহজসরল জীবন.... সে কি আর ফিরতে পারবে চিরচেনা এই পৃথিবীতে? নিজের ভালোবাসার মানুষটির কাছে?
শীত ও অন্যান্য গল্প book cover
#16

শীত ও অন্যান্য গল্প

1986

অথিতি সাদা গাড়ি গোপন কথা একজন সুখী মানুষ জলিল সাহেবের পিটিশন যন্ত্র শীত সুখ অসুখ অপরাহৃ রূপা
সম্রাট book cover
#17

সম্রাট

1988

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা \`সম্রাট’কে কি মৌলিক লেখা বলা যাবে? সম্রাটে ড্যানিয়েল কার্নের লেখা ‘ওয়াইল্ড গীজ’ বইটির ছায়া আছে। যদিও ঘটনা এবং চরিত্রবিন্যাস সম্পূর্ণই আমার। অন্য গল্পের ছায়ায় নতুন গল্প লেখার এই প্রবণতার মানে কি? আমি জবাব দিতে পারব না। কিছু কিছু গল্প নানা কারণে ভাল লেগে যায়। ইচ্ছে করে সেই আদলে আমার মত করে কিছু লিখি। ‘অমানুষ’ নামে একটি বই ঠিক এই ভাবেই লেখা হয়েছে। যাঁরা অমানুষ পছন্দ করেছেন তাঁরা ‘সম্রাট’ও পছন্দ করবেন। এই উপন্যাসের অংশবিশেষ ঈদ সংখ্যা পূণিমায় ১৯৮৮ প্রকাশিত হয়েছিল। হুমায়ূন আহমেদ
নিষাদ book cover
#18

নিষাদ

1989

মিসির আলির সাথে আজ দেখা করতে এসেছে সুন্দর চেহারার ভদ্র একটি ছেলে। ছেলেটির নাম মুনির। মুনির খুবই চুপচাপ। অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। মিসির আলি ছেলেটির বিষয়ে একপ্রকার আগ্রহ পাচ্ছেন। যা তার ক্ষেত্রে হওয়ার কথা নয়। তিনি নিরাসক্ত লোক। মুনিরের মাঝে অদ্ভুত এক রহস্য লুকিয়ে আছে। মিসির আলি কি পারবেন সেই রহস্য ভেদ করতে? নাকি তার আরো অনেক কেসের মতো এটিও রয়ে যাবে - অমীমাংসিত?
পুতুল book cover
#19

পুতুল

1989

Sorry!! There is no description about this product.
বোতল ভূত book cover
#20

বোতল ভূত

1989

হুমায়ন নামের এক দুষ্ট ছেলেকে নিয়ে গল্প বোতল ভূত। হুমায়ূন ক্লাসে ভালো ছাত্র না। ক্লাশের ৩২ জনের মধ্যে ওর রোল ৩২। তবে ওদের ক্লাশে যে ছেলেটা একদম কথা বলে না- মুনির। ও কিন্তু খুব ভালো ছাত্র। গণ্ডারের ইংরেজি বলতে বললে চট করে বলে দিতে পারবে। শুদ্ধ বানানে। মুনির হূমায়ুনকে নিজে থেকেই জিজ্ঞেস করে, ভূত পুষবে নাকি? মুনির বললো, ওকে নাকি একজন ভূতের বাচ্চা দেবে। এই ভূতের বাচ্চা আর হুমায়ুনকে নিয়েই বোতল ভূত-এর গল্প।
মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্র book cover
#21

মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্র

1989

\*শ্যামল ছায়া \*নির্বাসন \*১৯৭১ \*সৌরভ \*আগুনের পরশমণি \*সূর্যের দিন \*আনিল বাগচীর একদিন \*জোছনা ও জননীর গল্প
দ্বৈরথ book cover
#22

দ্বৈরথ

1989

Sorry!! There is no description about this product.
বৃহন্নলা book cover
#23

বৃহন্নলা

1989

মিসির আলি এমনই এক চরিত্র,যার তুলনা সে নিজেই। আমাদের চারপাশের অমীমাংসিত কুহেলিকাময় কিংবা রহস্যের মোড়কে আবৃত অনেক ঘটনায় আমরা যখন বিমূঢ়, নির্বাক কিংবা বিশ্বাস করতে থাকি অসত্যকে, তখনই মিসির আলি খুলতে থাকে অমোঘ নিয়তির একেকটি পর্দা। আমাদের আটপৌরে জীবনে মিশে থাকার পরও মিসির আলি এমন এক ক্ষ্যাপা, যে পরশপাথর খোঁজে এবং পায়ও।
হোটেল গ্রেভার ইন book cover
#25

হোটেল গ্রেভার ইন

1989

একটি অপ্রয়োজনীয় ভূমিকা হোটেল গ্রেভার ইন-এর প্রথম সংস্করণে কোন ভূমিকা ছিল না। ভেবেছিলাম, ভূমিকার প্রয়োজন নেই-পাঠক বুঝতে পারবেন যে হোটেল গ্রেভার ইন-এর গল্পগুলি আসলে বানানো গল্প নয়-স্মৃতিকথা। আমার মনে হয় সবাই তা বুঝতে পেরেছেন, তবু কেন জানি অসংখ্যবার আমাকে বলতে হয়েছে-না, এগুলি বানানো গল্প নয়। এবার ভূমিকাতেই লিখে দিলাম। আমার তু্চ্ছ স্মৃতিকথা যে পাঠকদের এত ভাল লাগবে তা আগে বুঝতে পারি নি। আমার ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো-এ আলো আমি কোথায় রাখব? হুমায়ূন আহমেদ ২-২-৯০ শহীদুল্লাহ হল সূচীপত্র \* হোটেল গ্রেভার ইন ৯ \* ডানবার হলের জীবন ২১ \* বাংলাদেশ নাইট ২৬ \* কিসিং বুথ ৩১ \* প্রথম তুষারপাত ৩৫ \* জননী ৩৮ \* এই পরবাসে ৪৪ \* ম্যারাথন কিস ৫৩ \* লাস ভেগাস ৫৬ \* শীলার জম্ম ৬২ \* পাখি ৬৬ \* ক্যাস্পে ৭০ \* নামে কিবা আসে যায় ৭৬
অন্ধকারের গান book cover
#26

অন্ধকারের গান

1990

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ \-গল্পটা শুরু হচ্ছে আমার মত বয়েসী একটা মেয়েকে নিয়ে। চমৎকার একটি মেয়ে, রূপবতী, ইন্টেজিলেন্ট, ফুল অব লাইফ। হঠাৎ মেয়েটা জানতে পারল তার ভয়াবহ একটা অসুখ হয়েছে। তার আয়ু আছে ছ’মাসের মত। শুরুটা কেমন রে? \-খুব সাধারণ, লক্ষ লক্ষ এ রকম গল্প আছে। \-খুব ট্রাজিক শুরু। আমার গল্পটা অন্য গল্পের মত না.....
এইসব দিনরাত্রি book cover
#28

এইসব দিনরাত্রি

1990

এইসব দিনরাত্রি একটি একান্নবর্তী পরিবারের সুখ-দুঃখের গল্প। আশা ও আনন্দের, ব্যর্থতা ও বঞ্চনার গল্প। কিছু সাধারণ মানুষের সাধারণ কিছু স্বপ্নের গল্প। ম্যাজিসিয়ান আনিস স্বপ্ন দেখে একটি কিশোরীর, রফিক স্বপ্ন দেখেন সুখী নীলগঞ্জের। টুনি নামের একটি ছোট মেয়ে সেও স্বপ্ন দেখে। এরা জোছনা রাতে ছাদে বসে গান গায়-আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে। কোনে বনের কথা তারা বলে? কোথায় সেই গভীর অরণ্য? ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ কি পেরেছেন সেই অরণ্যের সন্ধান দিতে?
দিনের শেষে book cover
#29

দিনের শেষে

1990

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ দর আইনা গারচে খোদ নোমাই বাসদ পায় ওয়াস্তা যে খেশতান জুদাই বাসাদ। \[আয়নায় মানুষ নিজেই ছবিই দেখে অথচ এই ছবি মানুষটি থেকে বিচ্ছিন্ন।\] \-গুলবদন বেগম।
সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ১ book cover
#30

সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ১

2009

সূচীপত্র: • তোমাদের জন্য ভালোবাসা • তারা তিন জন • অন্য ভুবন • ইরিনা • অনন্ত নক্ষত্রবীথি • কুহক
এলেবেলে - প্রথম পর্ব book cover
#31

এলেবেলে - প্রথম পর্ব

1989

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
এলেবেলে - দ্বিতীয় পর্ব book cover
#32

এলেবেলে - দ্বিতীয় পর্ব

1990

এলেবেলে দ্বিতীয় পর্বের লেখাগুলো এর আগে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পৃথক পৃথক ভাবে লেখাগুলো ছাপা হয়েছে। লেখাগুলো খবরের কাগজ, উন্মাদ, কিছু মিছু, বিচিত্রা ইত্যাদি ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। এছাড়া সর্বশেষে লেখকের একটি ব্যাঙ্গাত্মক রচনা সংকলিত করা হয়েছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের ইলেকশন ক্যাম্পেন করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার গল্প এই সংস্করণে রয়েছে। ধারাবাহিক নাটক অয়োময় প্রসঙ্গে একটি লেখা আছে। প্রথম সংস্করণে ছাপায় প্রচুর ভুল ছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে তবে অন্য জায়গায় আবারো ভুল করা হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক কারণ গ্রন্থের নামই হলো ‘এলেবেলে'।
সমুদ্র বিলাস book cover
#34

সমুদ্র বিলাস

1990

আদর্শ গৃহবধূ রিমি। স্বামী তৌহিদ আর কন্যা অনিকে নিয়ে কষ্টের সংসার নিপুণহাতে চালিয়ে নিচ্ছে সে। কিন্তু হাসিমুখের আড়ালে আছে হতাশা, অসন্তুষ্টি। কৈশোরে ফরহাদ নামে এক যুবকের সাথে বাসা থেকে পালিয়েছিলো রিমি। সেই ফরহাদ ভাইকে সে এখনো মনে মনে কামনা করে। স্কুলমাস্টার তৌহিদের আর্থিক দৈন্য তাকে পীড়া দেয়। আরো কষ্ট দেয় তৌহিদের চারিত্রিক দূর্বলতা, গা বাঁচানোর স্বভাব। ধীরে ধীরে রিমির মনে মনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। প্রথম প্রেমের নিষিদ্ধ আবেগ আর বর্তমান সংসারের নীরস দিনযাপন তাকে করে তুলে বিক্ষুব্ধ.... অবশেষে রিমি ও তৌহিদ পাড়ি জমায় কক্সবাজারে। সমুদ্রের কাছে। সমুদ্র নাকি সবাইকে পাল্টে দেয়। রিমিও কি পাল্টে যাবে? বাইরের হাসিখুশি আদল ছিঁড়ে কি উগরে দিবে তার ভেতরে জমে থাকা সব হতাশা, আকাঙ্খা, ক্ষোভ?
বহুব্রীহি book cover
#36

বহুব্রীহি

1990

ভূমিকা বহুব্রীহি নাম দিয়ে একটি টিভি সিরিয়েল লিখেছিলাম, এই বহুব্রীহিকে সেই টিভি সিরিয়েলের উপন্যাস রূপান্তর মনে করা ঠিক হবে না। আমি যা করেছি তা হচ্ছে মূল কাঠামো ঠিক রেখে একটা মজার উপন্যাস লেখার চেষ্টা। কিন্তু অন্য ধরনের কথা হাসি তামশা মাঝখানে আছে। আশা করছি সেই সব কথা রঙ্গ রসিকতায় পুরোপুরি ঢাকা পড়বে না। কিছু না থেকেই যাবে। পাঠক পাঠিকাদের- আমার এই উপন্যাস টিভি সিরিয়েলের সঙ্গে মিলিয়ে পড়লে হোঁচট খাবেন । সেই চেষ্টা না করাই ভালো। এই লেখাটি আমি গভীর আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে লিখেছি সেই আনন্দের ভগ্নাংশও যদি পাঠক পাঠিকাদের কাছে পৌঁছাতে পারি তাহলেই আমার সকল শ্রম সার্থক হয়েছে ধরে নেব। হুমায়ূন আহমেদ 3/8/90 শহীদুল্লাহ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলেবেলা book cover
#37

আমার ছেলেবেলা

1991

ভূমিকাঃ এক দুপুরে ভাত খেতে বসেছি। আমার মেজো মেয়ে কী-একটা দুষ্টুমি করায় মা’র কাছে বকা খেয়েছে। মুখ অন্ধকার করে ভাতের থালা সামনে নিয়ে বসে আছে। অনেক সাধাসাধি করেও তাকে খাওয়ানো যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত আমি বললাম, মা, তোমাকে আমি আমার ছেলেবেলার একটা গল্প বলব। গল্প গুনে তুমি যদি হেসে ফেলো তা হলে কিন্তু ভাত খেতে হবে। আমি গল্প শুরু করলম। সে প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগল না হাসার। শেষ পর্যন্ত খিলখিল করে হেসে ফেলে বলল, তুমি যদি তোমার ছেলেবেলাম আরেকটা গল্প বল তা হলে ভাত খাব। আমি যে একসময় তাদের মতো ছোট ছিলাম এবং খুব দুষ্ট ছিলাম এই বিস্ময়ই তাদের জন্য ছেলেবেলাটা লিখে ফেললে কেমন হয়। বিশ-পঁচিশ পৃষ্ঠা লিখেও ফেললাম। আমার বড় মেয়ে খুব উৎসাহ নিয়ে পান্ডুলিপি আমার মাকে পড়াল। মা’র মুখ গম্ভীর হয়ে গেল। তিনি শীতল গলায় আমাকে বললেন, এইসব কী লিখেছিস? নিজের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে রসিকতা? আমার ছোট বোনও পান্ডুলিপি পড়ল। সে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, আমাকে নিয়ে মকড়সা প্রসঙ্গে যে গল্পটা লিখেছ ঐটা কেটে দাও। লোকে কী ভাববে? পান্ডুলিপির খবর ছড়িয় পড়ল। আমার চোটমামা খুলনা থেকে চলে এলেন পড়ার জন্য। তিনি পড়লেন এবং কোনো কথা না বলে খুলনা চলে গেলেন। বুঝলাম তাঁর পছন্দ হয় নি। তবু একসময় শেষ করলাম এবং কোথাও কোনো ভুলটুল আছে কি না তা যাচাই করবার জন্য নিজেই নানিজানকে পড়ে শোনালাম। নানিজান বললেন, অনেক ভুলভ্রান্তি আছে। এই ধর, তুই লিখলি তোর মা পাগল হয়ে গিয়েছিল। পাগল হবে কীজন্যে? মানুষ চিনত না। উলটাপালটা কথা বলত-এর বেশি তো কিছু না। এটাকে পাগল বলে? আমি দীর্ঘনিশ্বাস ফেললাম। আমার মেজো মেয়ে বলল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লেকাটা তো মোটামুটি ভালোই হয়েছে। তবে তুমি একটা জিনিস লিখতে ভুলে গেছ। কোন জিনিস মা? ছেলেবেলায় দুধ আর ডিম খেতে তোমার কেমন খারাপ লাগত তা তো লেখনি। দুধ ডিম তো মা তোমরা খাচ্ছ। আমরা খেতে পারিনি। এত পয়সা আমার বাবা-মা’র ছিল না। মেজো মেয়ে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল, আহা কী সুখের ছিল তোমাদের ছেলেবেলা! সেই সুখের খানিকটা ভাগ আজকের পাঠক-পাঠিকাদের দেয়ার জন্যেই এই লেখা। ছেলেবেলা লেখার সময় শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। যতক্ষণ লিখেছি গভীর আনন্দে হৃদয় আচ্ছন হয়ে ছিল। পেছনে ফিরে তাকানো যে এত আনন্দময় হবে কে জানত? হুমায়ূন আহমেদ
নীল অপরাজিতা book cover
#40

নীল অপরাজিতা

1991

এই কাহিনীর সঙ্গে বাস্তব জীবনের কোন মিল নেই। নীল অপরাজিতার মূল চরিত্রে আছেন-একজন ঐপন্যাসিক। পাঠক-পাঠিকারা যদি আমাকেই সেই ঔপন্যাসিক ভেবে বসেন তাহলে আমার জন্যে খুব অস্বস্তির ব্যাপার হবে। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল। ঢা.বি।
নৃপতি book cover
#41

নৃপতি

1991

মহিমগড়ের রাজার মহিমার অন্ত নাই-শীতকে মনে করেন সুখের বসন্ত, আর্ত প্রজাদের দুঃখ মোচনের জন্যে আয়োজন করেন বসন্ত উৎসবের তার দেয়া সম্মান যায় ভাগ্যে জোটে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি আর তার থাকে না! পিঠ বাঁকাদের কোরাস ওঠে- তবু যাইতে হয়, তবু যাইতে হয়! ১৯৮৬ সালের বাংলাদেশে লিখিত ও মঞ্চায়িত এই নাটক নিয়ে কথা একটাই-যে হত রসিকজন, সে লও সন্ধান!
মে ফ্লাওয়ার book cover
#42

মে ফ্লাওয়ার

1991

হুমায়ূন আহমেদের খন্ডকালীন প্রবাস জীবনের ডায়েরি। ভূমিকা যে জাহাজে করে ইউরোপ থেকে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকরা প্রথম আমেরিকা যাত্রা করেন সেই জাহাজটির নাম ‘মে ফ্লাওয়ার।’ এই তথ্য ‘মে ফ্লাওয়ার’ গ্রন্থে উল্লেখ করতে ভুলে গেছি। গ্রন্থটি পাঠক-পাঠিকারা ভালোবাসার সঙ্গে গ্রহন করেছেন। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লা হল, ঢাকা
দুই দুয়ারী book cover
#43

দুই দুয়ারী

1991

ভূমিকা আমি প্রায়ই কিছু অদ্ভুত চরিত্র নিয়ে ভাবি । এমন কিছু চরিত্র যাদের কখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অবশ্যি এ ধরনের চরিত্র নিয়ে কিছু লিখতে ভরসা হয় না। কারণ আমি জানি লেখা মাত্র আমাকে অসংখ্য প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। পাঠক-পাঠিকা জানতে চাইবেন, ‘লোকটা কে?’ ‘সে কোত্থেকে এসেছে?’ “ব্যাপারটা কি?” “কি হচ্ছে?” আমি এসব প্রশ্নের জনাব জানি না। অবশ্যি সব প্রশ্নের জবাব যে জানতেই হবে তারও তো কোনো কথা নেই। এই ভেবেই শেষ পর্যন্ত লিখে ফেললাম। লেখার খসড়া একটি ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। পুস্ককাকারে পরিপূর্ণ লেখাটি প্রকাশিত হলো। কেউ গুরুত্বের সঙ্গে এই লেখাটি বিবেচনা না করলেই খুশি হবো। হুমায়ূন আহমেদ ১৫ এপ্রিল ১৯৯১
ভয় book cover
#44

ভয়

1991

Collection of short stories containing Misir Ali. সূচীপত্র \*চোখ \*জ্বীন কফিল \*সঙ্গিনী
ভূত ভূতং ভূতৌ book cover
#45

ভূত ভূতং ভূতৌ

1991

ভূমিকা চারটি গল্প নিয়ে এই বই। বই-এর নামকরণ ঠিক হয় নি। নাম শুনে মনে হতে পারে বইটি খুব ছোটদের জন্যে। আসলে তা নয়। বইটি কিশোর-কিশোরীদের জন্যে। তিনটি গল্পের বিষয়বস্তু এমন যে খুব বাচ্চারা কিছুই বুঝবে না। তারা এই বই পড়লে আমার উপর রাগ করবে। ভুরু কুচকে ভাববে-এই পাগরা এসব কি লিখেছে ? একটি গল্পে ছোটদের চোখে বড়দের সমস্যা দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। জানি না এই গল্প ছোটদের বইএ দেয়া ঠিক হল কি-না “বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণ রেখা” হচ্ছে সেই গল্প। বড় মামার চরিত্রটি জীবন থেকে নেয়া। আমার বড় মামা যেমন ছিলেন এই গল্পেও ঠিক সে রকম রাখা হয়েছে। গল্পগুলি লেখার পেছনে মজার ইতিহাস আছে। একবার আমি কি করলাম-রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। রাগ করলে সবাই খুব ছেলেমানুষ হয়ে যায়। আমিও তাই হলাম, ভাবলাম -এই যে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি আর ফিরে যাব না। কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখি মানব্যাগ আনি নি। পকেটে একটি টাকাও নেই। বাসায় ফিরে যেতে ইচ্ছা করছে-কিন্তু ফিরবার অজুহাত পাচ্ছি না। রাত কাটল কমলাপুর রেল ষ্টেশনে। ষ্টেশনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত হাঁটি। ক্ষুধা তৃষ্ণায় শরীর অবসন্ন। তারচেয়েও বড় কথা আসার সময় দেখে এসেছি মেয়েটি জ্বরে কাতর।বেচারীর কথাও খুব মনে পড়তে লাগল এইসব ভুলে থাকার জন্যে গল্প ভাবতে শুরু করলাম। চারটি গল্প এইভাবে তৈরী হল। এদিকে বাসায় অন্য নাটক। আমার মেয়ের জ্বর বাড়ছে। গায়ের তাপ বেড়ে হয়েছে ১০৬, কিছুতেই তাপ নামানো যাচ্ছে না। ডাক্তারের পরামর্শে বাথ টাবে বরফ মেশানো পানি দিয়ে তাকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। সে ক্ষণে ক্ষণে জিজ্ঞেস করছে-আব্বু কি এসেছে? বাসায় ফিরলাম দু’দিন পর। বাসা ভর্তি মানুষ, দু’জন ডাক্তার। হুলুস্থুল ব্যাপার। মেয়ে বিছানায় শুয়ে। তার জ্বর ১০৫ এর কাছাকাছি যেতেই তাকে বাথটাবে শুইয়ে দেয়া হয়। আমার অন্য দুই মেয়ের খূব মন খারাপ-এরকম মজার জ্বর তাদের হচ্ছে না কে? বড় মেয়েকে খুশী করার জন্যে তার বিছানার পাশে বসে গল্প গুলি লিখলাম। এক এক পাতা লেখা হয় সে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ে।আমি মেয়ের পাশে বসে থাকি। সে যখন গল্প পড়তে পড়তে খিল খিল করে হাসে তখন আনন্দে আমার চোখে পানি আসে। লেখকদের হাসি কান্না অদৃশ্য বলে আমার মেয়ে তা দেখতে পায় না। এই হচ্ছে গল্প লেখার ইতিহাস। যে আনন্দ আমি আমার মেয়েখে দিয়েছি-তোমাদেরও যদি তার ভাগ দিতে পারি তাহলেই যথেষ্ট। তোমরা ভাল থাক, সুখে থাক। পরম করুণাময় তাঁর মঙ্গলময় হস্ত তোমাদের দিকে প্রসারিত করুন, এই আমার কামনা। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল।
আশাবরী book cover
#46

আশাবরী

1991

দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা পাঠক পাঠিকারা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছেন কি-না জানি না, দ্বিতীয় মুদ্রণ না বলে আমি বলছি দ্বিতীয় সংস্করণ কারণ মূল গল্প বেশ খানিকটা বদলেছি। প্রখম সংস্করনের বইটি অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল। যা বলতে চেয়েছিলা তা ঠিক মত বলতে পারিনি- অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তাছাড়া কিছু চরিত্রের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। পৃথিবীর কাছ থেকে এরা সহানুভূতি পায়নি বলে লেখকের কাছ থেকেও পাবে না তাতো হয় না। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল ৫.১২.৯১
বিপদ book cover
#47

বিপদ

1991

ভূমিকা মিসির আলির আরো একটি গল্প। আমার ধারণা, অদ্ভুত এই গল্প পাঠক-পাঠিকারা এক কথায় উড়িয়ে দেবেন। তাতে ক্ষতি নেই, তবু আমি অনুরোধ করব উড়িয়ে না দিতে। এ জগৎ বড়ই রহস্যময়। প্রকৃতি মাঝে মাঝে কিছু রহস্য ভাঙ্গতে চেষ্টা করে, আবার পরমুহূর্তেই সচেতন হয়ে আরো কঠিন রহস্যে নিজেকে ঢেকে ফেলে। সেই জট ছড়ানো মিসির আলির ক্ষমতার বাইরে। হুমায়ূন আহমেদ
গল্পসমগ্র-১ book cover
#48

গল্পসমগ্র-১

2014

Humayun Ahmed Galpo Samagra Vol. 1
অনন্ত অম্বরে book cover
#49

অনন্ত অম্বরে

1992

‘অনন্ত অম্বরে’ মূলত হুমায়ুন আহমেদের অটোবায়োগ্রাফি। অবশ্য ‘অটোবায়োগ্রাফি’ শব্দটা ঠিক শব্দচয়ন হয়নি। হুমায়ুন আহমেদ এই বইয়ে ঢালাওভাবে তাঁর নিজের জীবনের কাহিনী এখানে বর্ণনা করে যাননি। বরং তিনি এই বইয়ে নিজের জীবনের কিছু ঘটনা বিক্ষিপ্তভাবে একটা একটা করে বর্ণনা করেছেন। বলাই বাহুল্য, বর্ণিত ঘটনার একটার সাথে অন্যটির বিশেষ কোন সাদৃশ্য নেই। তবে, ঘটনগুলি যথেষ্ট মজার আর উৎসাহব্যাঞ্জক। বর্ণনার সময়ও হুমায়ুন আহমেদ নিজের সাহিত্যিক প্রতিভার সবটাই ব্যবহার করেছেন।
অনিল বাগচীর একদিন book cover
#50

অনিল বাগচীর একদিন

1992

বইটা পড়ার পড়ে একটা জিনিস আমার কাছে খোলাসা হলো। সকল দেশেই কোন না কোন কারণে অযথা দাঙ্গা-বিদ্রোহ লেগেই রয়েছে। ৭১-এর ব্যাপারটাও তারই ধারাবাহিকতা ছিল ... মানুষ ধংসাত্বক সেই পৃথিবীর শুরু থেকেই। নানা কারনে নানা অজুহাতে তারা পৃথিবীর বুকে এই ধংসলীলা চালিয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছে। ৪৭' এর ভাগ, বাংলা ভাষাকে অগ্রাহ্য করা, পরবর্তী পাকিস্তান স্বৈরশাসণসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানীদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানীদের যে সকল অত্যাচার-নির্যাতন, পরধর্মের প্রতি যে তীব্র বিতৃষ্ণা এসব থেকে সত্যিই আমাদের মুক্তির দরকার ছিল। দেশটা তারজন্যে স্বাধীন করা অতি প্রয়োজন ছিল। তবে আদৌ সেই স্বাধীনতার মুখ আমরা দেখেছি কিনা, তা একটা চিরকালীন প্রশ্ন রয়েই গেল। ৭১-কে কেন্দ্র করে আমরা সবসময়ই একেকটা জাতি-দলকে দোষারোপ করে আসছি। এটা কিন্তু ঠিক নয়। সকল বিহারীই কিন্তু গলাকাটা রাজাকার ছিল না, গল্পের জোবায়েদ সাহেবের মতও কিছু বিহারী কিন্তু ছিল। 'ঘরের শক্র বিভীষণ'-হয়ে কিছু বাঙালী যেমন পাকিস্তানীদের হয়ে কাজ করেছিল, (এটা ছিল সেই সকল বাঙালীদের চূড়ান্ত ভুল) তেমনি মুক্তিবাহিনীর হয়েও অজস্র বাঙালী কিন্তু রাইফেল নিয়েছিল কাধে। গল্পের মূল চরিত্র হচ্ছে অনিল বাগচী, হিন্দু। পিতা সুরেশ বাগচী ও বোন অতশীকে ছেড়ে সে চাকরিজীবী হিসেবে ঢাকার এক মেচে থাকে। ২৪ বছরের একজন যুবক হওয়া সত্তেও সে অসম্ভব ভীতু ধরনের একটি ছেলে। ভয় পাওয়ার বেশিরভাগ ঘটনাই অহেতুক। যেমন, ঘরে একা থাকা অবস্থায় দরজায় সাধারণ টোকা পড়লেও তার ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। মেচের এক প্রতিবেশী গফুর সাহেবের নিকট হঠাৎ একদিন রুপেশ্বর থেকে একটি খোলা চিঠি আসে। সেই চিঠিতে অনিল বাগচীর জন্যে অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ একটি দুঃসংবাদ। গফুর সাহেব পরদিন অনিল বাগচীকে সেই দুঃসংবাদ জানালে হঠাৎ করেই অনিল সাহসী হয়ে উঠে।
কুহক book cover
#51

কুহক

1991

প্রকাশকের নিবেদন ‘কুহক’ উপন্যাসটি লেখকের সায়েন্স ফিকশন সমগ্রে প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয়। আলাদাভাবে বই হিসেবে এতোদিন বের হয় নি। গতবছরই অনেক পাঠক এই উপন্যাসটি আলাদা গ্রন্থাকারে পেতে চেয়েছিলেন। সেবার পারি নি। আশা করি এবার ক্ষমাপার্থী হতে পারি।
কৃষ্ণপক্ষ book cover
#52

কৃষ্ণপক্ষ

1992

অরু ও মুহিব নামের দুই তরুণ-তরুণীর গল্প, যাদের হৃদয়জুড়ে আছে অকৃত্রিম ভালোবাসা। একটা সময় সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতার অনেক প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে তারা পৌঁছে যায় আজীবন একসাথে থাকবার চূড়ান্ত সিন্ধান্তের দিকে। কিন্তু নিয়তিকে কে অগ্রাহ্য করতে পারে?
নি book cover
#56

নি

1992

মবিনুর রহমানকে হাজতে ঢোকানোর তিন ঘন্টার ভেতর থানার চারপাশে দু’তিন হাজার মানুষ জমে গেল। তারা হৈ চৈ, চিৎকার কিছু করছেনা। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সবাই শান্ত। এই লক্ষণ ভালো না। খুব খারাপ লক্ষণ। এরা থানা আক্রমণ করে বসতে পারে। থানায় আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। থানায় টেলিফোন আছে- অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে টেলিফোন করা যায়। কিন্তু টেলিফোন গত এক সপ্তাহ থেকে নষ্ট।
পাখি আমার একলা পাখি book cover
#57

পাখি আমার একলা পাখি

1992

Bengali
অনীশ book cover
#59

অনীশ

1992

ভূমিকা ‘অনীশ’ প্রথম ছাপা হয়েছিল ঈদসংখ্যা বিচিত্রায় (১৯৯২)। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় কিছু পরিবর্তন করেছি। অনীশের নায়িকা রূপা’র স্বামী সম্পর্কে মিসির আলির ধারণার কথা মূল বই- এ বলা হয়েছে, যা আগে বলিনি। মিসির আলির যুক্তিনির্ভর এই ধারণা হয়তো অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হবে না। আমার কথা হচ্ছে ‘যুক্তি’ গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মাথা ঘামায় না, সে চলে তার সরল পথে। জালালুদ্দিন রুমির চার লাইনের একটি কবিতা ব্যবহার করেছি। মূল বইয়ের সঙ্গে এই কবিতার তেমন সম্পর্ক নেই। জালালুদ্দিন রুমির এই স্তবকটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। পাঠক-পাঠিকাদের কাছে প্রিয় স্তবকটি উহার দেবার লোভ সামলানো গেল না। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৫-৫-৯২
দরজার ওপাশে book cover
#60

দরজার ওপাশে

1992

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ তার ডাক নাম হিমু। ভালো নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে হিলাময় নাম রেখেছিলেন যেন বড় হয়ে সে হিমালয়ের মতো হয়- বিশাল ও বিস্তৃত, কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে পারতেন। সমুদ্র বিশাল এবং বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয় স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা, সমুদ্র আকাশের ছায়া পড়ে। কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌ পবর্তমালা, যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সে নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়। হিমুর বাবার চেয়েছিলেন হিমু একজন মহাপুরুষ হবে, যে মহাপুরুষ পরম সত্য জানেন। কিন্তু হিমু কি চেয়েছিল? আমরা তার বাবার আকাঙ্ক্ষার কথা জানি, হিমুর আকাঙ্ক্ষা জানি না। সে কিসের সন্ধান করে বা আসলেই সে কোন কিছুর সন্ধান করে কি-না তা নিয়েই লেখা ‘দরজার ওপাশে’। প্রস্তাবনাঃ তার ডাক নাম হিমু। ভালো নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে হিমালয় নাম রেখেছিলেন যেন বড় হয়ে সে হিমালয়ের মতো হয়- বিশাল ও বিস্তৃত, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে পারতেন। সমুদ্রও বিশাল এবং বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা, সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়ে। কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌন পবর্তমালা, যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সে নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়। হিমুর বাবা চেয়েছিলেন হিমু একজন মহাপুরুষ হবে, যে মহাপুরুষ পরম সত্য জানেন। কিন্তু হিমু কি চেয়েছিল? আমরা তার বাবার আকাঙ্ক্ষার কথা জানি, হিমুর আকাঙ্ক্ষা জানি না। সে কিসের সন্ধান করে বা আসলেই সে কোন কিছুর সন্ধান করে কি-না তা নিয়েই লেখা হলো ‘দরজার ওপাশে’। যদিও আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে লেখাটি লিকেছি তবু বিনীত অনুরোধ করছি কেউ যেন গুরুত্বের সঙ্গে লেখাটি গ্রহণ না করেন। মিসির আলী নামে আমার একটি চরিত্র আছে। সে কাজ করে লজিক নিয়ে। তার চিন্তা-ভাবনা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা যায় কিন্তু হিমু কাজ করে ‘এন্টি-লজিক’ নিয়ে। আমাদের এই জগতে ‘এন্টি লজিকে’র স্থান নেই। হুমায়ূন আহমেদ ৫ই মে ১৯৯২
হুমায়ূন আহমেদের স্বনির্বাচিত উপন্যাস book cover
#61

হুমায়ূন আহমেদের স্বনির্বাচিত উপন্যাস

1992

\* আমার আছে জল \* নক্ষত্রের রাত \* অন্ধকারের গান \* তোমাকে \* নীল অপরাজিতা \* আকাশজোড়া মেঘ \* দিনের শেষে \* দ্বৈরথ \* আগুনের পরশমণি \* একজন মায়াবতী \* সাজঘর \* কৃষ্ণপক্ষ
নিশিকাব্য book cover
#62

নিশিকাব্য

1976

গল্প সংকলনঃ সূচীপত্র \*নিশিকাব্য \*শ্যামল ছায়া \*কল্যাণীয়াসু \*একজন ক্রীতদাস \*নন্দিনী \*শঙ্খমালা \*ফেরা \*সৌরভ \*ভালবাসার গল্প \*অসময় \*বান
নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ book cover
#63

নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ

1992

ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের বড় ছেলের নাম নুহাশ। সে যখন খুব ছোট কখন তাকে খুশি করার জন্য তিনি এই লেখা শুরু করেন। রোজ রাতে ঘুমুতে যাবার আগে ছেলে কয়েকপাতা করে পড়ে শুনান। নুহাশ একই সঙ্গে আনন্দিত হয় এবং রাগ করে। তাকে নিয়ে একটা উপন্যাস লেখা হচ্ছে এই নিয়ে আনন্দ কিন্তু উপন্যাসের নুহাশ একটি মেয়ে এই কারণে রাগ। মজার ব্যপার না।
জলপদ্ম book cover
#64

জলপদ্ম

1992

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ছোটবেলায় ইলা একবার জলপদ্ম দেখেছিল। মাঝ পুকুরে সাঁতার কাটছে টকটকে লাল রঙের কি আশ্চর্য এক ফুল! যে ফুলের কাছে যাওয়া যায় না, যাকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় না-শুধু দূর থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয়। ইলা বড় হল জলপদ্মের স্বপ্ন চোখে নিয়ে। তার সেই স্বপ্নের কথা কেউ জানত না। সব স্বপ্নতো বলে বেড়াবার নয়। কিছু স্বপ্ন হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে রাখতে হয়। ইলা লুকিয়ে রেখেছিল-লুকিয়ে রাখতে রাখতে একদিন সে নিজেই একটা জলপদ্ম হয়ে গেল। এই আশ্চর্য রূপান্তর কি করে হল সেই গল্পই জলপদ্মের গল্প।
আয়নাঘর book cover
#65

আয়নাঘর

1992

তাহেরের বিদেশিনী স্ত্রী লিলিয়ান অবাক হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে। তাহের বলল, লিলি!এই দেখ এই ঘরটার নাম আয়নাঘর। জানালাবিহীন ছোট্ট একটা কামরা, যার দেয়াল জুড়ে প্রকান্ড সব আয়না।তাহের বলল, আমার পূর্বপুরুষদের রূপবতী তরুণী বধূরা দরজা বন্ধ করে এই ঘরে সাজ করতো। ‘যারা রূপবতী নয় তারা কি করতো?’ ‘আমি কথার কথা বললাম! যারা রূপবতী নয় তারাও নিশ্চয়ই যেত।’ ’ঘরটাতো অন্ধকার। জানালা নেই। দরজা বন্ধ করলে আলো আসবে না।’ ‘এই ঘরে ঢুকতে হোত প্রদীপ নিয়ে। চারদিকে আয়ানাতো প্রদীপ জ্বাললেই অন্যরকম এফেক্ট হয়। তুমি মোমবাতী জ্বালাও, দেখ কেমন লাগে।’ ‘তুমি অন্যঘরে যাও। আমি একা একা মোমবাতী জ্বালাব।’ তাহের চলে গেল। লিলিয়ান দরজা বন্ধ করে, মোমবাতী জ্বারাল। সঙ্গে সঙ্গে ঘরটা যে বদলে গেল। লিলিয়ানের মনে হল। আয়নার ভেতর থেকে কে যেন তাকে দেখছে। অবাক হয়ে দেখেছে!
জনম জনম book cover
#68

জনম জনম

1993

পূর্বকথা ‘মৌনব্রত’ নামে দৈনিক বাংলায় একটা ধারাবাহিক লেখা শুরু করেছিলাম। সেখানে হঠাৎ 'তিথি’ নামের একটি চরিত্র চলে এল। নিশিকন্যা। লক্ষ্য করলাম, তার কথা লিখতে বড় ভাল লাগছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই জাতীয় মেয়েদের আমি চিনি না। শুধুমাত্র কল্পনার আশ্রয় করে তাে আর একটি লেখা দাঁড় করান যায় না। আমি নানান জনের কাছে যাই, কেউ তেমন সাহায্য করেন না। মজার ব্যাপার হল সাহায্য পেয়ে গেলাম অকল্পনীয় একটি সূত্র থেকে। এই ভূমিকায় গভীর মমতা ও ভালবাসায় সেই সূত্রের ঋণ স্বীকার করছি। বইটি শুরুতে 'রাত্রি' নামে ছাপা হচ্ছিল। একদিনের কথা, উপন্যাস লিখছি, আমার স্ত্রী রেকর্ড প্লেয়ারে গান বাজাচ্ছেন—হঠাৎ সমস্ত ইন্দ্রিয় চলে গেল গানে- 'জনম জনম তব তরে কাঁদিব'। গান শুনতে শুনতে নিজে খানিকক্ষণ কাঁদলাম এবং পরে উপন্যাসের নাম পাল্টে দিলাম, 'রাত্রি' থেকে তা হয়ে গেল 'জনম জনম'। আমার প্রকাশক খুব বিরক্ত হলেন। রাগী-গলায় বললেন, এসব কি করছেন- 'রাত্রি' নামে ফর্মা ছাপা হয়ে গেছে। আমি বললাম, হােক। প্রকাশক চোখের দৃষ্টিতে আমাকে ভস্ম করতে চাইলেন-পারলেন না। যে কম্পােজিটর এই বই কম্পােজ করত, সে আমার কাটাকাটির বহর দেখে চাকরি ছেড়ে পালিয়ে গেল—নানান যন্ত্রণা। তবু সব যন্ত্রণার পরেও বইটি বের হচ্ছে—এই আমার আনন্দ। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল, ঢাকা।
আমার আপন আঁধার book cover
#69

আমার আপন আঁধার

2004

সূচীপত্র \- সমুদ্র দর্শন কবি সাহেব লেখালেখি খেরা শ্বেতপদ্ম শিল্পী সুলতান লাউ মন্ত্র মাসাউকি খাঁতাওরা ইংলিশম্যান হিজ মাস্টারস্‌ ভয়েস্‌ নুহাশ এবং সে বটবৃক্ষ ভাইভা হোটেল আহমেদিয়া
আমি এবং আমরা book cover
#70

আমি এবং আমরা

1993

Sorry!! There is no description about this product.
একি কাণ্ড! book cover
#72

একি কাণ্ড!

1993

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
কিশোর সমগ্র book cover
#73

কিশোর সমগ্র

1993

উপন্যাসঃ বোতল ভূত সূর্যের দিন পুতুল নুহাশ এবং আলাদীনের আশ্চর্য চেরাগ রহস্য উপন্যাসঃ অন্যভূবন গল্পঃ গোবর বাবু নিউটনের ভুল সূত্র নিমধামা বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণরেখা কানী ডাইনী রাণী কলাবতী বোকা দৈত্য মিতুর অসুখ আলাউদ্দীনের চেরাগ বনের রাজা হলুদ পরী নীল হাতী একটি মামদো ভূতের গল্প আকাশ পরী লোকটি জাদুকর নাটিকা স্মৃতিচিহ্ন
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে book cover
#74

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে

1993

নবনী ভালোবাসে শাহেদকে। শাহেদ নবনীকে। কিন্তু তাদের এই ভালোবাসাটা কি আসলেই খাঁটি? নাকি কিছুটা ফাঁক আছে, আছে সন্দেহ, দ্বিধা? তৃতীয় ব্যক্তি শ্রাবণী কি সেই এড়িয়ে যাওয়া সত্যিটা দুজনের সামনে তুলে ধরতে পারবে?
পারাপার book cover
#75

পারাপার

1993

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা কাল সারারাত ঘুম হয় নি। ঘুম না হবার কোনো কারণ ছিল না। কারণ ছাড়াই এই পৃথিবীতে অনেক কিছু ঘটে। দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘুমোতে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে চোখভর্তি ঘুম। কতক্ষণ ঘুমিয়েছি জানি না। ঘুম ভাঙল স্বপ্ন দেখে। আমার বাবাকে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি আমার গা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলছেন, এই হিমু, হিমু, ওঠ। তাড়াতাড়ি ওঠ। ভুমিকম্প হচ্ছে। ধরণী কাঁপছে। আমি ঘুমের মধ্যেই বললাম, আহ, কেন বিরক্ত করছ? বাবা ভরাট গলায় বললেন, পাকৃতিক দুর্যোগের মতো মজার ব্যাপার আর হয় না। ভেরি ইন্টারেষ্টিং। এই সময় চোখকান খোলা রাখতে হয়। তুই বেকুবের মতো শুয়ে আছিস। ঘুমোতে দাও বাবা। তোর ঘুমোলে চলবে না। মহাপুরুষদের সবকিছু জয় করতে হয়। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম। ঘুম হচ্ছে দ্বিতীয় মৃত্যু। সাধারণ মানুষ ঘুমায়-অসাধারণরা জেগে থাকে।......
পিপলী বেগম book cover
#76

পিপলী বেগম

1993

Sorry!! There is no description about this product.
মেঘের ছায়া book cover
#78

মেঘের ছায়া

1993

ইয়াজউদ্দিন সাহেব এবং রেহানা বেগমের একমাত্র ছেলে শুভ্র। সুদর্শন, এলোমেলো চুল আর বড় বড় দুটি কালো চোখ শুভ্রের। কিন্তু শুভ্রের এই কালো দুটি চোখ ঢেকে থাকে মোটা চশমার আড়ালে। হাসলে শুভ্রকে খুব সুন্দর লাগে। আর এজন্যই শুভ্রের মা রেহানা বেগম তার সাতাশ বছর বয়সী সুদর্শন এই ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর বলেন, ছেলেদের এতো সুন্দর হতে হয় না! শুভ্রের বাবা ইয়াজউদ্দিন সাহেব একজন ব্যবসায়ী। বলা যায়, একজন সফল ব্যবসায়ী। মাত্র তিনশ টাকা নিয়ে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক। ইদানিং তিনি শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুভ্রকে ব্যবসার সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে। কিন্তু শুভ্রের শুধু বয়সই বেড়েছে। বাইরের জগৎ সম্পর্কে শুভ্রের তেমন ধারণা নেই বেশি। কারণ শুভ্রের তেমন বন্ধুও নেই। খুব কম বন্ধু তার। এদের মাঝে জাহেদ শুভ্রর খুব ভালো বন্ধু। জাহেদ টিউশনি করে চলে, মামার বাসায় থাকে। হুট করে একদিন কেয়া নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে জাহেদ। এদিকে রেহানা বেগম এবং তার দূর সম্পর্কের এক বোন রিয়া শুভ্রের বিয়ের জন্য মেয়ে খুজেঁ বেড়াচ্ছেন। আর শুভ্র! সে তার বন্ধু সাবেরের বড় বোন নিতুকে পচ্ছন্দ করে। সাবের মারা যাওয়ার পরও শুভ্রের এই বাড়িতে আসা বন্ধ হয়নি। সাবেরের বাবা মাহিন সাহেবের সাথে শুভ্র গল্প করে। শুধু কি গল্প করতেই আসে নাকি নিতুর কাছে আসে শুভ্র? আবার নিতু তার থেকে বড়। শুভ্রের নিতুকে বিয়ে করলে সবাই মেনে নিবে তো? তার থেকে বড় কথা, নিতু কি রাজি হবে? নাকি মা আর খালার পচ্ছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবে শুভ্র?
স্বপ্ন ও অন্যান্য মঞ্চ নাটক সমগ্র book cover
#79

স্বপ্ন ও অন্যান্য মঞ্চ নাটক সমগ্র

1993

সূচীপত্রঃ স্বপ্ন অসময় ১৯৭১ নৃপতি মহাপুরুষ স্মৃতিচিহ্ন (কিশোর নাটিকা)
হিমু book cover
#80

হিমু

1993

হিমু আমার প্রিয় চরিত্রের একটি। যখন হিমুকে নিয়ে কিছু লিখি- নিজেকে হিমু মনে হয়, একধরণের ঘোর অনুভব করি। এই ব্যাপারটা অন্য কোনো লেখার সময় তেমন করে ঘটে না। হিমুকে নিয়ে আমার প্রথম লেখা ময়ূরাক্ষি। ময়ূরাক্ষি লেখার সময় ব্যাপারটা প্রথম লক্ষ করি। দ্বিতীয়বার লিখলাম দরজার ওপাশে। তখনো একই ব্যাপার। কেন এরকম হয়? মানুষ হিসেবে আমি যুক্তিবাদী। হিমুর যুক্তিহীন, রহস্যময় জগৎ একজন যুক্তিবাদীকে কেন আকর্ষণ করবে? আমার জানা নেই। যদি কখনো জানতে পারি- পাঠকদের জানাব। হুমায়ূন আহমেদ এলিফেন্ট রোড।
পোকা book cover
#82

পোকা

1993

সিটি ব্যাংকের আ্যসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার জনাব আলতাফ হোসেন...ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছেন দূর সম্পর্কের মামা বজলুর রহমানের কাছে...আলতাফ হোসেনকে তিনি ছোটবেলা থেকে খুব ভালোবাসেন বলেই যে তিনি এমনটি করেছেন সেটা ধারণা করার কোন কারন নেই...এক রকম বাধ্য হয়েই কাজটি করেছেন...কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে এটি ছিল মিসটেক অব দি সেঞ্চুরি... বজলুর রহমানের ছোট বোন মিনু অনেক বছর আগে আঠার দিনের জ্বরে মারা যান...মৃত্যুর পর দিন সকালে যখন বজলুর সাহেব মিনুর বাসায় খোঁজ নিতে গেলেন, তখন বাসার বাইরে থেকে শুনলেন কীসের যেন বিজবিজ শব্দ!...মিনুর লাশ যে ঘরে ছিল সে ঘরে গিয়ে দেখলেন ঘরভর্তি তেলাপোকা...হাজার হাজার বললেও কম বলা হবে - লক্ষ লক্ষ পোকা...পোকাদের মাঝখানে শান্তমুখে বসে আছে দু'বছর বয়সী আলতাফ...তার চোখে ভয় বা বিস্ময় কিছুই নেই...
মন্দ্রসপ্তক book cover
#83

মন্দ্রসপ্তক

1990

কাহিনী সংক্ষেপ- একটা একান্নবর্তী পরিবার, সেখানকার মানুষ আর মানুষগুলোর নানা রকমের সমস্যা, সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে উপন্যাসের কাহিনী! একটা পরিবারের মধ্যেই থাকে নানা মত, ধ্যান ধারনা, জীবনবোধের মানুষ! জীবনের কাছে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা চাহিদা। কী হয় যখন এই মত একে অন্যের বিরোধী হয়! গল্পের কাহিনী টুকু নামের এক যুবকের ভাষায় লিখা! অনেকটা তার আত্মকথার মতো। বাবা মা, দুই বোন, বড় চাচা, ছোড় চাচা চাচীর সাথে ঢাকা শহরে তিনতলা এক বাড়িতে থাকে সে! তিনতলা এই বিশাল বাড়িতে তার বাস চিলেকোঠায়! বড় চাচী থাকেন মেয়েদের সাথে আমেরিকায়! বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ একজন আরেকজনের সম্পূর্ণ বিপরীত,তবুও কোথাও যেন একটা মিল আছে! সম্ভবত তারা সবাই ই কিছুটা পাগল আর ইচ্ছাস্বাধীন! কাহিনীর শুরু দুঃসম্পর্কের এক খালুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে! এই খালুর মেয়ের সাথেই টুকুর এক অদ্ভুত সম্পর্ক! কখনো বন্ধু, কখনো ভাই-বোন কখনো বা নামহীন কোনো অদ্ভুত সম্পর্ক! এদিকে ছোট চাচার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে শুরু হয় বাসায় এক চরম অশান্তি! নতুন চাচীর প্রথম পক্ষের মেয়ে লরেটা টুকুর মাঝে খুঁজে পায় এক বন্ধুকে! মূলত এই দুই কাহিনীকে কেন্দ্র করে উপন্যাসে আরো অনেক ঘটনার, চরিত্রের আবির্ভাব হয়েছে! জীবনবোধ, নিয়তি, হাস্যরসের সংমিশ্রণে এই গল্প যেন মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইকে খুব সাবলীলভাবে বলে যায়.... পাঠ-প্রতিক্রিয়া: লেখক গল্পে কোনো আদর্শ মানুষ এর ছবি আঁকতে চাননি! বরং খুব সূক্ষ্মভাবেই মানুষের ত্রুটিগুলো তুলে ধরে সাধারন মানুষের গল্প লিখেছেন! আবার এই ত্রুটিযুক্ত সাধারন মানুষগুলোই তার লেখনীশক্তির মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছে অসাধারন। এই গল্পের সবচেয়ে ভালো দিক সম্ভবত এটাই যে গল্পের চরিত্রগুলোকে বাস্তবের মানুষ মনে হয়! ভালোলাগার মতো একটা বই! t.
নবনী book cover
#84

নবনী

1993

অনেকদিন পর নবনী লিখলাম। কয়েক বছর ধরে এই কাহিনী মাথায় দিয়ে ঘুরছি। লিখতে যাই, লিখতে পারি না। অথচ পুরো গল্প মাথায় তৈরী হয়ে আছে। এ এক অদ্ভুত অবস্থা। একটা গল্প মাথায় নিয়ে অন্য কিছু কারও মুশকিল। সব সময় মাথায় ভোতা ধরণের যন্ত্রণা হতে থাকে। একসময় ধরেই নিলাম নবনী আর লেখা হবে না। পুরোপুরি ব্যাপারটা মাথা থেকে তাড়িয়ে দিলাম। এক ধরণের তৃপ্তি বোধ করলাম। বাঁচা গেল, নবনী নিয়ে আর যন্ত্রণা করতে হবে না, আর ঠিক তখনি লেখার আগ্রহ ফিরে পেলাম। আমার জন্যে এ এক রহস্যময় ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা। আমার পাঠকদের এই অভিজ্ঞতার কথা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। হুমায়ূন আহমেদ এলিফেন্ট রোড, ঢাকা।
তিথির নীল তোয়ালে book cover
#85

তিথির নীল তোয়ালে

1993

এই আমি book cover
#86

এই আমি

1993

ভূমিকা ব্যক্তিগত রচনা শিরোনামে আমি এক ধরনের লেখা অনেক দিন থেকেই লিখছি। শুরু করেছিলাম ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ দিয়ে। প্রকাশ করেছিল কাকলী প্রকাশনী।এই ধারার সর্বশেষ রচনা ‘এই আমি।’ এর প্রকাশকও কাকলী। যেখানে থেকে শুরু সেখানেই শেষ।চক্র সম্পন্ন হল। হুমায়ূন আহমেদ ১৩৫, এলিফেন্ট রোড ঢাকা।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই book cover
#88

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

1994

এক সময় আমি খুব ঘর-কুনো ধরনের ছিলাম। কোথাও যেতে ভাল লাগতো না। নিজের অতি পরিচিত জায়গা ছেড়ে দু’দিনের জন্যে বাইরে যাবার প্রয়োজন হলেও গায়ে জ্বর আসতো। সেই আমাকে সাত বছরের জন্যে দেশ ছেড়ে আমেরিকা যেতে হলো সাত বছর পার করে ফিরে আসার পর পরিচিত সবাই আমার কাছ থেকে শুধু আমেরিকার গল্প শুনতে চায়্ আমি গল্প শোনাই। যাই বলি তাই দেখি সবার ভাল লাগে। শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম গল্পগুলি লিখে ফেলব। লেখা হলো, ‘হোটেল গ্রেভার ইন।’ দীর্ঘদিন দেশে কাটানোর পর আবার তিন মাসের জন্যে আমেরিকা গেলাম। দেখি আগের আমেরিকা বদলে গেছে। কিংবা কে জানে হয়তো আমিই বদলে গেছি। নতুন চোখে দেখা আমেরিকা নিয়ে লিখলাম, ‘মে ফ্লাওয়ার।’ তারপর মনে হলো আমার নিজের জীবনটাওতো বেশ মজার। লিখে ফেললে কেমন হয়? ভাবতে ভাবতে লিখে ফেললাম, ‘অনন্ত অম্বরে’, ‘আমার আপন আঁধার’, ‘এই আমি।’ একইভাবে লেখা হলো ‘আমার ছেলেবেলা।’ প্রায়ই আমাকে প্রশ্ন করা হয়, ব্যক্তিগত রচনা হিসেবে আমি যা লিখছি সবই কি সত্যি? প্রতিবারই এই প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছি, আবারো বললাম। স্কেচ ধর্মী এইসব লেখা আমার পাঠকরা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন, এই আমার জীবনের পরম পাওয়া। সূচিপত্র \* শোনা কথা \* একজন অদ্ভুত বাবা \* আমার মা \* জোছনার ফুল \* নানার বাড়ি দাদার বাড়ি \* পারুল আপা \* স্বপ্নলোকের চাবি \* সাহিত্য বাসর \* পদ্মপাতায় জল \* আমার বন্ধু উনু \* জগদলের দিন \* শেষ পর্বে শঙ্খনদী \* মে ফ্লাওয়ার \* আমার আপন আধাঁর \* হোটেল গ্রেভার ইন \* বাংলাদেশ নাইট \* প্রথম তুষারপাত \* জননী \* এই পরবাসে \* ম্যারাথন কিস \* লাস ভেগাস \* শীলার জন্ম \* পাখি \* ক্যাম্পে \* নামে কিবা আসে যায় \* সমুদ্র দর্শন \* কবি সাহেব \* লেখালেখি খেলা \* শ্বেতপদ্ম \* শিল্পী সুলতান \* লাউ মন্ত্র \* মাসাউকি খাতাঁওরা \* ইংলিশ ম্যান \* হিজ মাস্টারস ভয়েজ \* নুহাশ এবং সে \* বটবৃক্ষ \* ভাইভা \* হোটেল আহমেদিয়া \* এই আমি \* চোখ \* উৎসব \* উমেশ \* পেট্রিফায়েড ফরেস্ট \* সে \* নারিকেল মামা \* পরীক্ষা \* আমার বন্ধু সফিক \* মিসির আলি ও অন্যান্য \* বর্যাযাপন \* ফ্রাংকেনস্টাইন \* চান্নিপসর রাইত \* লালচুল
ছায়াবীথি book cover
#90

ছায়াবীথি

1990

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
প্রেমের উপন্যাস সমগ্র book cover
#92

প্রেমের উপন্যাস সমগ্র

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

2004

নির্বাসন তোমাকে আমার আছে জল নক্ষত্রের রাত বাসর নীল অপরাজিতা আয়নাঘর কৃষ্ণপক্ষ পাখি আমার একলা পাখি তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে নবনী তিথির নীল তোয়ালে
মজার ভূত book cover
#93

মজার ভূত

1994

সূচিপত্র \* মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ \* রুঁরুঁর গল্প \* মোবারক হোসেনের মহাবিপদ \* একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প \* ভূত মন্ত্র \* পানি রহস্য
রূপালী দ্বীপ book cover
#95

রূপালী দ্বীপ

1994

হুমায়ুন আহমেদের 'দারুচিনি দ্বীপ' উপন্যাসের পরবর্তি কাহিনি ।
ভৌতিক অমনিবাস book cover
#97

ভৌতিক অমনিবাস

2012

তোমাকে book cover
#98

তোমাকে

1984

Sorry!! There is no description about this product.
যশোহা বৃক্ষের দেশে book cover
#99

যশোহা বৃক্ষের দেশে

1994

Sorry!! There is no description about this product.
চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক book cover
#101

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক

1995

তারা হাঁটছে। পায়ের নিচে নদী। মাথার উপর অন্য এক রকম আকাশ। চারপাশে থৈ থৈ জোছনা। যে জোছনা মানুষকে পাল্টে দেয়। যে জোছনায় সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলে ভ্রম হয়। লেখকের কথা আমার ইচ্ছা ছিল খুব আনন্দময় একটি গল্প লিখব। কয়েকজন যুবক চাঁদের আলোয় পথে পথে হাঁটছে, হইচই করছে এই নিয়ে গল্প। লিখতে লিখতে অন্যরকম হয়ে গেল। এই কারণেই আমি কখনও বিশেষ কোনো পরিকল্পনা মাথায় রেখে লিখতে বসি না। সব সময় দেখেছি যা লিখতে চাই তা লিখতে পারি না। যা লিখতে চাই না তা লিখে ফেলি। আমার জন্যে লেখালেখির পুরো ব্যাপারটাই কেমন এলোমেলো। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল
এবং হিমু ... book cover
#103

এবং হিমু ...

1995

Bengali
ছোটদের সেরা গল্প book cover
#105

ছোটদের সেরা গল্প

1995

প্রকাশকের কথা শিশু-কিশোরদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ দু’হাতে না লিখলেও প্রচুর লিখেছেন। মজার মজার সব লেখা। রহস্য, এডভেঞ্চার, ভৌতিক গল্প, সায়েন্স ফিকশান কোন কিছুই বাদ দেন নি। তাঁর সেই সব লেখা থেকে বাছাই করা কিছু গল্প আমরা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের প্রস্তাবে রাজি হলেন। যখন তাঁদের বললাম গল্প বাছাই করে দিতে, তখন তিনি বললেন- আমি কি করে বলব কোনটা সেরা গল্প, কোনটা নয়? আপনি বাচ্চাদের জিজ্ঞাস করুন। ওদের মতামত দিয়ে সেরা গল্প বাছাই করুন। এই সংকলনে তাই করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষুদে পাঠক যে সব পল্পকে সেরা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেই সবই রাখা হয়েছে। গল্পের তালিকা লেখককে দেখানো হলে তিনি ভুরু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন- আমার কিছু ভাল গল্প বাচ্চারা বাদ দিয়েছে, এর কারণ কি? আমি বললাম, আপনার পছন্দের গল্প কি ঢুকিয়ে দেব? তিনি বললেন, অবশ্যই না। শিশুদের মতে কোনটি সেরা তা আমরা ঠিক করে ওদের উপর চাপিয়ে দেব না। ওরাই ওদেরটা ঠিক করবে। তাই করা উচিত। আমরা এই সংকলনে তা করেছি। \-আহমেদ মাহমুদুল হক সূচিপত্র \*বোকা দৈত্য \*লোকটি \*নীল হাতি \*গোবর বাবু \*রুঁরুঁর গল্প \*বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণ রেখা \*কানী ডাইনী \*আলাউদ্দিনের চেরাগ \*একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প \*রাণী কলাবতী
জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল book cover
#106

জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল

1995

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা অত্যন্ত আশ্চর্যের ব্যাপার জীবনকৃষ্ণ মোমোরিয়াল স্কুলে আজ শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে। তাও ভাঙ্গা বেতন না। পুরো বেতন। পুরো ব্যাপারটা শিক্ষকদের কাছে অপ্রত্যাশিত। বেতন হবে, এই সম্পর্কে হেড স্যার আগে কিছু বলেন নি। কোন আদায় পত্রও হয়নি। টাকাটা পাওয়া গেল কোথায়? কেউ এ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করছে না। বেতন হচ্ছে এটাই বড় কথা কোত্থেকে হচ্ছে, কি ভাবে হচ্ছে সেটা বড় কথা না। জানতে না চাওয়াই ভাল। শিক্ষকরা হেড সারের ঘরে ঢুকছেন, রেভিনিয়্যু ষ্ট্যাম্পে সই করে বেতন নিচ্ছেন।
পারুল ও তিনটি কুকুর book cover
#107

পারুল ও তিনটি কুকুর

1995

উৎসর্গঃ কাকলী প্রকাশনীর নাসির আহমেদ এবং সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদ এরা দুজনেই জানে না এদের আমি কি পরিমাণ পছন্দ করি। একদিন হুট করে মরে যাব, আমার ভালবাসার কথা এরা জানবে না। তা তো হয় না। কাজেই এই উৎসর্গপত্র। প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশঃ "কিছুক্ষণ আগেও টক-টক করে ঘড়ির শব্দ হচ্ছিল। এখন সেই শব্দও শোনা যাচ্ছে না। পুর বাড়িটা হঠাৎ করেই যেন শব্দহীন হয়ে গেল। এত বড় একটা বাড়িতে কত রকম শব্দ হবার কথা- বাতাসের শব্দ, পর্দা নড়ার শব্দ, টিকটিকি ডেকে ওঠার শব্দ। এখন কিছু নেই। এই যে পারুল নিঃশ্বাস ফেলছে সেই শব্দও সে নিজে শুনতে পাচ্ছে না। আজ যে এটা প্রথম হচ্ছে তাই না, আগেও কয়েকবার হয়েছে। কেন এ রকম হয়? না কি পারুলের কোন অসুখ করেছে? বিচিত্র কোঁন অসুখ, যাতে মানুষ কিছু সময়ের জন্যে বধির হয়ে যায়। তার পৃথিবী হয় শব্দশুন্য। পৃথিবীতে কত ধরনের অসুখ আছে- এ ধরনের অসুখ থাকতেও তো পারে।"
পেন্সিলে আঁকা পরী book cover
#108

পেন্সিলে আঁকা পরী

1995

Bengali
সকল কাঁটা ধন্য করে book cover
#109

সকল কাঁটা ধন্য করে

1995

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি।
কবি book cover
#111

কবি

1996

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সিলেটের মীরাবাজারের পুরানো শ্যাওলা ধরা দালানের একটা ঘর। মধ্যরাত্রি। পাঁচ-ছ’ বছর বয়েসী একটি শিশু বাবা-মা’র পাশে ঘুমুচ্ছে। বাইরে উথাল পাথাল জোছনা। সেই জোছনা বাড়ির ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢুকেছে, পড়েছে শিশুটির মশারির ছাদে। মনে হচ্ছে আলোর ফুল ফুটে আছে। হঠাৎ শিশুটির ঘুম ভেঙে গেল। সে বিস্ময় এবং ভয় নিয়ে তাকিয়ে রইল জোছনার ফুরের দিকে। এক সময় বাবাকে ডেকে তুলে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, “এটা কি?” শিশুর বাবা ফুলের রহস্য ব্যাখ্যা করলেন-“ভেন্টিলেটারের ফুলের নকশাকাটা। জোচনা ভেন্টিলেটার দিয়ে ঢুকেছে বলেই ফুল হয়ে মশারির ছাদে পড়েছে। ভয়ের কিচ্ছু নেই।” শিশুর ভয় তারপরেও যায় না। তখন বাবা বললেন, “হাত দিয়ে ফুলটা ধর, ভয় কেটে যাবে।” শিশুটি সেই ফুল হাত দিয়ে ধরতে গেল। যতবারই ধরতে যায় ততবারই ফুল হাত গলে বের হয়ে যায়। কবি-জোছনার ফুল ধরার গল্প। মহান বোধকে স্পর্শ করার আকাংক্ষার গল্প। জীবনকে দেখা এবং না দেখার গল্প
আমাদের শাদা বাড়ি book cover
#113

আমাদের শাদা বাড়ি

1996

বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনকে গভীররভাবে যিনি স্পর্শ করেছেন তিনি হুমায়ূন আহমেদ।জাদুকরী লেখনী দিয়ে জয় করে নিয়েছেন মানুষের মনন।একটা সাদা বাড়ি ও এর মধ্যে বসবাসকারী ছোট এক পরিবারের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে কেন্দ্র করেে গড়ে উঠেছে উপন্যাসের পটভূমিকা।অর্থ মানুনুষকে বদলে দেয় এবং শুধুমাত্র অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার বৈশ্লস্টিতেই যে মানুষের আসল রুপ বেরিয়ে আসে তার প্রমান হুমায়ূনের এই বই।জীবনকে তুলে এনেছেন অদ্ভুত এক ছন্দে।কোথাও কোথাও কয়েকটা চরিত্রকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও জীবনের মতোই তার স্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। মধ্যবিত্ত চাওয়া পাওয়াকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস হয়ে ওঠে যেন বর্তমানেরই এক উপজীব্য!
ছবি বানানোর গল্প book cover
#114

ছবি বানানোর গল্প

1996

আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্র তৈরীর পেছনের কাহিনী। সাথে রয়েছে আগুনের পরশমণি ছবির চিত্রনাট্য এবং মূল উপন্যাস।
মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য book cover
#116

মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য

1996

Bengali
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম book cover
#117

হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম

1996

ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা ‘যাবার আগে আপনি বলে যাবেন আপনি কে? আমি বললাম,‘মারিয়া আমি কেউ না। I am Nobody." আমি আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি-কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে ওঠেনি। দু’টো ব্যাপারই এই প্রখম ঘটল।
অদ্ভুত সব গল্প book cover
#118

অদ্ভুত সব গল্প

1996

সূচিপত্র \*গুণীন \*আয়না \*কুদ্দুসের এক দিন \*ভাইরাস \*নিজাম সাহেবের ভূত
মহাপুরুষ book cover
#119

মহাপুরুষ

1986

ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘জীবন তার সুবিশাল বহু প্রসারিত করুক সবার কে। আনন্দে পরিপূর্ণ হোক সবার জীবন।’- মহাপুরুষের বাণী তার ঘোষণা- ‘আমি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে চাই। এই ইচ্ছার শেষ কোথায়? হুমায়ূন আহমেদের অতুলনীয় সংলাপে বোনা মঞ্চ-সফল নাটকের শেষ দৃশ্য পর্যন্ত খুঁজতে হবে এ প্রশ্নের উত্তর। এক রুদ্ধশ্বাস যাত্রা কিন্তু আনন্দে পরিপূর্ণ। ভূমিকা এই মঞ্চ নাটকটি কিভাবে লেখা হল সেই গল্পটি বলি। একদিন সকালে অপরিচিত এক ভদ্রলোক এসে উপস্থিত। তাঁর হাতে এক কার্টুন বিদেশী সিগারেট, চারটা চমৎকার খাতা, ছ’টা বল পয়েন্ট। তিনি বললেন, আপনাকে একটা নাটক লিখতে হবে। আপনার জন্যে সিগারেট, খাতা কলম নিয়ে এসেছি। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তিনি বিদেয় হলেন। এবং এক সপ্তাহ পর আবার একগাদা সিগারেট নিয়ে উপস্থিত। কি মুশকিল! আমি বিদেশী সিগারেটের ধোঁয়া টানি এবং দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ভাবি কি করে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত আমার বিপদ ত্রাতা হিসেবে টেনে আনলাম ‘মহাপুরুষ’ কে। মহাপুরুষরা মানুষকে উদ্ধার করেন। আমাকেই বা করবেন না কেন? এই ইচ্ছে মহাপুরুষের জন্ম কথা। যাঁরা আমার এই নাটকটি মঞ্চে আনতে চান তাঁদের বলছি- মঞ্চায়নের জন্যে আমার কোন পূর্ব অনুমতির প্রয়োজন নেই। সংলাপ বদলানো যাবে না এবং নাটক শেষ করতে হবে “আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে” এই গানটি দিয়ে (গীত বিনাত; ২১২) এই দু’টি মাত্র শর্ত। খুব কঠিন শর্ত নিশ্চয়ই নয়। হুমায়ূন আহমেদ
হিমুর রূপালী রাত্রি book cover
#120

হিমুর রূপালী রাত্রি

1998

বাবা আমার নাম রেখেছিলাম হিমালয়, হিমালয় থেকে হিমু। দুই অক্ষরের ছোট্ট একটা নাম। নামের মধ্যেই ঠান্ডা ভাব। বাবা বলেছিলেন, হিমালয় শোন, তুই পথে পথে হাঁটবি। তোর কাজ হলো শহর দেখা। আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, শহরে দেখার কি আছে? ইটের দালন। তিনি অত্যান্ত বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, যে দেখতে পারে সে ইটের দালানেও অনেক কিছু দেখতে পারে। যে দেখতে পারে না তাকে এই পৃথিবীর সবচে সুন্দর দৃশ্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেও সে কিছু দেখতে পারে না। তুই শহরের পথে পথে হাঁটবি, রাতে হাঁটবি। অন্ধকারে শহর দেখার মজাই অন্য রকম। বাবার উপদেশ মেনে আমি প্রায়ই অন্ধকারে শহর দেখতে বের হই। যে রাতে ব্ল্যাক আউট হয়। শহর ঘন অন্ধকারে ডুব যায়, আমি হলুদ চাদর গায়ে পথে নামি। মনে মনে বলি, হে অন্ধকার নগরী! তুমি দেখা দাও। নগরী দেখা দেয় না। আমি অপেক্ষা করি।
মেঘ বলেছে যাব যাব book cover
#123

মেঘ বলেছে যাব যাব

1997

ফ্ল্যাপে লেখ কিছু কথাঃ মেঘ বলেছে যাবো।আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে? তারা কি যেতে চায় কোথাও? তারা কোথায় যেতে চায়? বর্ষান ঘন কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে চিত্রলেখার হঠাৎ এই কথা মনে হল। দশ-বার বছরের কিশোরীর মনে এর রকম একটা চিন্তা আসতে পারে, চিত্রলেখার বয়স পঁচিশ। এ রকম উদ্ভট তার জন্যে স্বাভাবিক নয়। তবুও কেন জানি নিজেকে তার মেঘের মতো মনে হয়। তার কোথায় জানি যেতে ইচ্ছা করে। এ রকম ইচ্ছা তো সব মানুষেরই কবে। সব মানুষের ভেতরই কি তাহলে এক টুকরা মেঘ ঢুকে আছে, যে কেবলি কোথাও যেতে চায়? ভূমিকাঃ অনেকদিন থেকে লেখালেখি করতে পারছিলাম না। কাগজ-কলম নিয়ে বসি-ঘন্টাখানিক পার হয় উঠে আসি। কাগজে নানাবিধ চিত্রকলা দেখা যায়। সেইসব চিত্রকর্ম দেখে আমার পুত্র নুহাশ খুব আহ্লাদিত হলেও অন্যরা আমার দিকে কেমন কেমন করে যেন তাকায়। এক সময় লিখতে শুরু করলাম। খুবই অনাগ্রহ দিনে লেখা। যেন আনন্দময় লেখা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেবার জন্যে টার্ম পেপার তৈরি করছি। লেখাটা এগোতে লাগল একটু অদ্ভুত ভঙ্গিতে, সবাই প্রথম চ্যাপ্টার লিখে দ্বিতীয় চ্যাপ্টার লেখে তারপর যায় তৃতীয়তে। আমি শুরু করলাম উল্টো দিকে। প্রথম যে চ্যাপ্টারটা লেখা হল-এক সময় সেটা হয়ে গেল সপ্তম চ্যাপ্টার। যা শুরু হল আমাদের ময়মনহিংহের ভাষায় তাকে বলে-“বেরাছেড়া”। এক সময় সেই বেরাছেড়ার সমাপ্তি হল। প্রকাশক বন্ধু আলমগীর রহমান খুশি মনে পাণ্ডুলিপি ছাপতে নিয়ে গেলেন। লেখা কম্পোজ এবং প্রুফ দেখা শেষ হবার পর যখন ছাপা শুরু হবে তখন আমি তাঁকে বললাম- কয়েকটা নাম পাল্টে দিতে হবে। নামগুলো উপন্যাসের চরিত্রগুলোর সঙ্গে যাচ্ছে না। তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। সঙ্গত যুক্তি দেখালেন-নামের সঙ্গে চরিত্রের সম্পর্ক কী? একই নাম অথচ চরিত্রের আকাশ-পাতাল পার্থক্য তো সব সময় দেখা যায়। অকাট্য যুক্তি-কিন্তু লেখালেখির জগৎটা হিমুর জগতের মতো যেখানে যুক্তি সব সময় খাটে না। নাম পাল্টানো হল। তখন আমি বললাম, বইয়ের নামও আমি পাল্টেছি। তিনি দ্বিতীয়বার মাথায় হত দিয়ে বসে পড়লেন। কারণ প্রচ্ছদ হয়ে গেছে। আবার নতুন নামে প্রচ্ছদ হল। বই বের হয়ে গেছে। এখন আমার বইয়ের বর্তমান নামটাও পছন্দ হচ্ছে না। মনে হচেছ আগের নামটাই ভালো ছিল। তারচেয়েও মজার ব্যাপার-চরিত্রগুলোর আগে যে নাম ছিল এখন মনে হচেছ সেই নামগুলোই ঠিক ছিল। হুমায়ূন আহমেদ ৩১ জানুয়ারি’ ৯৭
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর book cover
#124

হিমুর দ্বিতীয় প্রহর

1997

ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা "অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম হিমুর সঙ্গে মিসির আলির দেখা করিয়ে দিব। দুজন মুখোমুখি হলে অবস্থাটা কি হয় দেখার আমার খুব কৌতূহল। ম্যাটার এবং এন্টিম্যাটার একসঙ্গে হলে যা হয় তার নাম 'শূন্য'। মিসির আলি এবং হিমুওতো এক অর্থে ম্যাটার এবং এন্টিম্যাটার। দুটি চরিত্রের ভেতর কোনটিকে আমি বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি সেটা জানার জন্যও এদের মুখোমুখি হওয়া দরকার। হিমুর দ্বিতীয় প্রহরে এদের মুখোমুখি করিয়ে দিলাম। হুমায়ূন আহমেদ (২৫-২-৯৭)
দূরে কোথায় book cover
#125

দূরে কোথায়

1987

ভূমিকা উপন্যাসটি দৈনিক বাংলায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। দৈনিক কাগজে প্রকাশিত উপন্যাস কেউ পড়েন বলে আমার ধারণা ছিল না। কাজেই যা মনে আসত লিখে ফেলতাম। বুধবারে কপি দিতে হয়, আমি শেষ মুহূর্তে (মঙ্গলবার) কাগজ কলম নিয়ে বসতাম-যেভাবেই হোক ন’টি স্লীপ লিখে ফেলতে হবে। কাহিনী কোথায় যাবে এ নিয়ে ভাববার সময় নেই। এক সময় অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম এই উপন্যাসে আমি নিজের কথাই বলতে শুরু করেছি। সব লেখাতেই লেখক খানিকটা ধরা দেন কিন্তু এরকম নির্লজ্জভাবে দেন না। বই আকারে লেখাটি প্রকাশ করবার সময় তাই খানিকটা অস্বস্তি বোধ করছি। সে-সব পাঠক-পাঠিকা খবরের কাগজে ‘দূরে কোথায়’ প্রথম পড়েছেন তাঁদেরকে বিনীতভাবে বলতে চাই বইয়ের কাহিনী কাগজে প্রকাশিত কাহিনীর চেয়ে অনেকখানিই আলাদা। অনেক অংশই নতুন করে লিখেছি, প্রচুর কাটছাঁট করেছি তবু মনে হচ্ছে আরেকবার যদি গোড়া থেকে লিখতে পারতাম ভাল হত। হুমায়ূন আহমেদ
বোকাভূ book cover
#126

বোকাভূ

1997

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
ভয়ংকর ভুতুড়ে book cover
#127

ভয়ংকর ভুতুড়ে

2008

গত বছর বাংলা একাডেমী বইমেলায় (১৯৯৫) পার্ল পাবলিকেশন্সের স্টলে বসে আছি। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম বাবা মা'র হাত ধরে বাচ্চা একটা মেয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আট ন' বছরের মতো বয়স, ফুটফুটে চেহারা। কিন্তু চোখের দৃষ্টিতে রাগ ও অভিমান মিশে আছে। আমি বললাম, ' এই মেয়ে এদিকে এস।' সে গটগট করে এগিয়ে এল এবং আমাকে অবাক করে কঠিন গলায় বলল, ' এই বৎসর আপনি আমাদের জন্য একটিও বই লেখেন নি কেন? আপনি কি পেয়েছেন?' ততক্ষণে মেয়ের বাবা মা এগিয়ে এসেছেন।মেয়ের ব্যবহারে সম্ভবত তারা হকচকিয়ে গেছেন। তারা মেয়েকে সামলাবার জন্যে বললেন, ' এই জেরিন। এই।' আমি মেয়ের নাম জানলাম, এবং তৎক্ষণাৎ ঠিক করলাম, আজ রাতেই জেরিন নামের অভিমানী মেয়েটার জন্য একটা লেখা শুরু করব। আমি আমার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পারি নি। অনেক পরে শুরু করেছি। ভয়ঙ্কর ভুতুড়ে নামের এই লেখা জেরিনের জন্যে। তার ঠিকানা জানি না, ঠিকানা জানলে নিজের হাতে বইটি তার হাতে তুলে দিতে পারতাম। তার বিস্মিত হাসি মুখ দেখতে খুব ইচ্ছা করছে।
আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প book cover
#128

আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প

1997

\* নিশীথে / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর \* মাষ্টারমশায় / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর \* একটি ভৌতিক কাহিনী / প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় \* মহেশের মহাযাত্রা/ পরশুরাম \* ডাইনী / তারাশঙ্কর বন্দ্যোদোপাধ্যায় \* ভুলের ছলনা / তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় \* তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প / বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় \* মায়া / বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় \* গিন্নি-মা / কামাক্ষী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় \* ক্লাইম্যাক্স / বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় \* রহস্য / সতীনাথ ভাদুড়ী \* পাতাল কন্যা / মনোস বসু \* লাল চুল / মনোস বসু \* হলুদপোড়া / মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় \* অবর্তমান / বনফুল \* দেহান্তর / শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় \* কে তুমি / শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় \* দিন দুপুরে ভূত / বুদ্ধদেব বসু \* মন্টির মা / নরেন্দ্র দেব \* আয়না / নরেন্দ্রনাথ মিত্র \* ন্যাপা / লীলা মজুমদার \* ভূতো / সত্যজিৎ রায় \* ঘাটবাবু / সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় \* পানিমুড়ার কবলে / সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় \* ভয় / হুমায়ূন আহমেদ \* আয়না / হুমায়ূন আহমেদ
পরীর মেয়ে মেঘবতী book cover
#129

পরীর মেয়ে মেঘবতী

2003

শিশু কিশোর গল্প
রুমালী book cover
#130

রুমালী

1997

ফ্ল্যাপে লেখা কথা: সুসং দুর্গাপুরের চন্ডিগড় গ্রামে ছবি বানাতে গেছেন একজন বিখ্যাত পরিচালক। ছবির নাম আমার আছে জল। বিরাট ইউনিট, বিরাট কর্মকান্ড। ছবিতে প্রথম কাজ করতে এসেছে রুমালী নামের এক কিশোরী। ছবি বানানোর এই বিপুল আয়োজন, এই বিশাল কর্মকান্ড সে দেখছে অবাক বিস্ময়ে। সে এক সময় ছবির গল্পের সঙ্গে মিশে যেতে শুরু করল। তার মনে হতে লাগলো সে রুমালী নয় সে আমার আছে জল-এর কিশোরী নায়িকা, দিলূ। শুরু হল বিচিত্র এক মেটামরফোসিস। রুমালীর গল্প এক অস্বাভাবিক রূপান্তরের গল্প। লাগাম-হীন তীব্র আবেগের গল্প, তীব্র হাহাকারের গল্প, অমোঘ নিয়তির গল্প। সে নিয়তির কাছেই আমাদের সকল সমর্পন।
কালো যাদুকর book cover
#134

কালো যাদুকর

1998

ভূমিকা আমি যা বিশ্বাস করি তাই লিখি। অবিশ্বাস থেকে কিছু লিখতে পারি না। আমার বিশ্বাসের জগৎটা আবার খুবই বিচিত্র। সেই বিচিত্র বিশ্বাসের একটি গল্প লিখলাম। গল্পটিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ না করাই ভাল হবে। হুমায়ূন আহমেদ ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ ধানমন্ডি, ঢাকা।
চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু book cover
#135

চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু

2002

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
নির্বাচিত সায়েন্স ফিকশন ও ফ্যান্টাসি book cover
#136

নির্বাচিত সায়েন্স ফিকশন ও ফ্যান্টাসি

1998

ইরিনা ফিহা সমীকরণ শূন্য নিউটনের ভুল সূত্র আয়না আয়না ঘর মানবী
মীরার গ্রামের বাড়ি book cover
#137

মীরার গ্রামের বাড়ি

1998

ভূমিকা লেখালেখি নিয়ে আমার কিছু মৌলিক সমস্যা আছে। আমি প্রায়ই একই নাম ব্যবহার করি।সম্পূর্ণ উপন্যাস কিন্তু পাত্র-পাত্রীর একই নাম (নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার) পাত্র-পাত্রীর নাম ভিন্ন কিন্তু ঘটনার স্থান এবং কাল এক(নীল অপরাজিতা, তুমি আমায় ডেকেছিলে ছূটির নিমন্ত্রণে) পাঠকরা খানিকটা হলেও বিভ্রান্ত হন(আমি নিজেই হই, পাঠকরা তো হবেনেই) অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে এই ত্রুটি থেকে মুক্ত করতে পারিনি, সম্ভবত এটা আমার জন্মত্রুটি যা থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। ‘মীরার গ্রামের বাড়ি’ উপন্যাসের শুরুটা পাঠকদের আমার আরেকটি উপন্যাসের শুরু মনে করিয়ে দেবে (শ্রাবণ মেঘের দিন) সেখানেও দুই বোন নিয়ে গল্প গুরু হল-শাহানা, নীতু। এখানেও দুই বোন-মীরা এবং শেফা। মিল এই পর্যন্তই। ভূমিকায় ব্যাপারটা উল্লেখ না করলেও হত। উল্লেখ করলাম কারণ মীরার গ্রামের বাড়ি যখন লিখতে শুরু করলাম তখন আমার মেজো মেয়ে খুব হৈচৈ শুরু করল। রাগী-রাগী গলায় বলল-এটা কী করছ? আবারো আগের মতো? আমি মেয়েকে বললাম, কাঠামো কোনো ব্যাপার না মা-কাঠামোর ভেতরের ব্যাপারটাই মূল।সব মানুষের শরীর মোটামুটি একই রকম, কিন্তু মন? মীরার গ্রামের বাড়িতে আমি কিছু যুক্তি ব্যবহার করেছি, যা সম্পূর্ণই আমার যুক্তি। এই কথাটা বলা দরকার। হুমায়ূন আহমেদ ধানমণ্ডি, ঢাকা
হুমায়ূন৫০ book cover
#139

হুমায়ূন৫০

2003

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
উদ্ভট গল্প book cover
#141

উদ্ভট গল্প

1999

ভূমিকা যে কোনো উদ্ভট বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে। উদ্ভট মানেই তো রহস্যময়তা। দুইয়ের সঙ্গে দুই যোগ করলে চার হয়। সেই চারে কোনো রহস্য নেই। কিন্তু যখন চার হয় না, যখন অন্য কিছু হয় তখনই মনে হয় খেলাটা জমে ওঠে। ভিন্ন ধরনের সেই খেলা আমার দেখতে ভালো লাগে, আবার অংশ নিতেও ভালো লাগে। এই বইয়ে সাতটি গল্প আছে। কৌতূহলী পাঠক যদি গল্পগুলির শানে-নজুল জানতে চান তা হলে বিপদে পড়ে যাব। এইটুকু শুধু বলতে পারি-গল্পগুলি শূন্য থেকে বানানো নয়। কঠিন নিয়মে বাঁধা পৃথিবীতে নিয়মের বাইরেও অনেক কিছু হয়। মানুষ থাকলেই আলোতে মানুষের ছায়া পড়ে, আবার এমনও হয়-মানুষ নেই কিন্তু তার ছায়া আছে। ধরে নেয়া যাক, এই গ্রন্থের সাতটি গল্পই ছায়ার গল্প। গল্পগুলি আমার পছন্দের। গ্রন্থাকারে এই প্রথম প্রকাশিত হল। হুমায়ূন আহমেদ সূচীপত্র ................. লিপি মৃত্যুগন্ধ সম্পর্ক শবযাত্রা নেডিকুকুর এবং আজহারউদ্দিন মণ্ডল প্রেসক্রিপশন অন্তরার বাবা
জোছনাত্রয়ী book cover
#143

জোছনাত্রয়ী

1999

তিনটি গল্প আছে এখানে: ১. জল জোছনা ২. চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক ৩. সবাই গেছে বনে
নির্বাচিত কিশোর উপন্যাস book cover
#144

নির্বাচিত কিশোর উপন্যাস

1999

\* একী কান্ড \* পিপলী বেগম \* সূর্যের দিন \* বোতল ভূত \* ভয়ংকর
রূপার পালঙ্ক book cover
#145

রূপার পালঙ্ক

1999

"রূপার পালঙ্ক" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া: শুধু পূর্ণিমার রাতে মােবারকের খুব কষ্ট হয়—আকাশ ভেঙে জোছনা নামে। মােবারকের মনে হয় সমস্ত পৃথিবীটাই বুঝি বিশাল এক রূপার পালঙ্ক । এত প্রকাণ্ড এক পালঙ্কে সে বসে আছে একা। অনেক দূরে দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে। আছে লাজুক একটা মেয়ে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে একবার যদি বলা যায়, খুকি এসাে। সে ছুটে চলে আসবে। কিন্তু মােবারক বলতে পারছে না। কারণ কথাগুলি বলার জন্যে তাকে রূপার পালঙ্ক থেকে নেমে মেয়েটার কাছে যেতে হবে । সে যেতে পারছে না। যে রূপার পালঙ্কে সে বসে আছে সেখান থেকে নামার। ক্ষমতা তার নেই। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাদের আলাে তীব্র হয়। রূপার পালঙ্ক ঝকমক করতে থাকে।
ইস্টিশন book cover
#147

ইস্টিশন

1999

রাতে ট্রেনের শব্দ শুনলেই আমার ঘুম ভেঙে যায়।আমি অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করতে করতেই মনে হয় সব মানুষের মধ্যেই একটা ইস্টিশন থাকে। সেই ইস্টিশনের সিগন্যাল ডাউন করা। ইস্টিশনে সবুজবাতি জ্বলছে।আনন্দময় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা। কারো কারো স্টেশনে ট্রেন সত্যি সত্যি এসে থাকে। কারো কারো স্টেশনে ট্রেন আসে ঠিকই, তবে মেলট্রেন বলে থামে না। ঝড়ের মতো উড়ে চলে যায়।
আমিই মিসির আলি book cover
#148

আমিই মিসির আলি

2000

মিসির আলি খুব সাধারণ একজন মানুষ। সাধারণ এবং বিশেষত্বহীন। থাকেন একা। নিজে রেঁধে খান। রোজই এক তরকারি। চাল-ডাল এবং সবজির খিচুড়ি । রান্না তেমন ভালো হয় না, তারপরেও খুব তৃপ্তি করে খান। তাঁর গান শোনার খুব শখ ছিল। একবার কিছু টাকা পেয়ে বেশ দামি ক্যাসেট প্লেয়ার কিনেছিলেন। যেদিন কিনলেন তা পরদিনই ক্যাসেট প্লেয়ারটা চুরি হয়ে গেল। চোর কী মনে করে যেমন ক্যাসেটগুলি নেয় নি। এখন মাঝে মাঝেই তাঁকে দেখা যায়- ক্যাসেট হাতে নিয়ে চুপচপাপ বসে আছেন। কল্পনায় গানগুলি শোনার চেষ্টা করছেন। এই সময় তিনি সামান্য মাথাও দোলান। এর থেকে মনে করা যেতে পারে কল্পনায় গানগুলি শুনে তিনি খুব আনন্দ পাচ্ছেন। আমার পরম সৌভাগ্য আমি এই সাধারণ বিশেষত্বহীন মানুষটির কিছু গল্প আপনাদের শোনাতে পেরেছি। সাধারণ মোড়কে মোড়া এমন অসাধারন একজনের গল্প বলতে আমার কিছু সমাস্যাও হয়। বারবার মনে হয়-আমি মানুষটির কথা ঠিক ঠিক বলতে পারছি তো? ভুল হচ্ছে না তো? যে প্রগাঢ় মমতা তিনি মানুষের জন্যে লালন করেন তা খানিকটা হলেও উঠে আসছে তো? মানুষটির প্রতি আমর নিজের শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা আমি কি পারছি ঠিকঠাক প্রকাশ করতে?
ওমেগা পয়েন্ট book cover
#149

ওমেগা পয়েন্ট

2003

ফ্ল্যাপে লিখা কথা ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটা গল্প দাঁড়া করাবার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। বিষয়টা শুধু জটিল বললে ভুল বলা হবে-বেড়াছেড়া লেগে যাবার মত জটিল। শেষ পর্যন্ত জটিল চিন্তাগুলি লিখে ফেলতে পেরেছি এটাই বড় কথা। গল্প বলার সময় বিজ্ঞানের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। পাঠকদের কাছে অনেক তথ্যেই উদ্ভট লাগতে পারে। তাঁরা ভুরু কুঁচকে ফেলতেও পারেন। ভুরু কুঁচকানো পাঠকদের সবিনয়ে জানাচ্ছি বিজ্ঞানে উদ্ভট বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান রূপকথার জগতের চেয়েও অনেক রহস্যময়। হুমায়ুন আহমেদ
তোমাদের এই নগরে book cover
#150

তোমাদের এই নগরে

2000

ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমি বসে আছি নৌকার গলুইয়ে। পা ঝুলিয়ে বসেছি। নৌকা খুব দুলছে বলেই মাঝে মাঝে নদীর পানিতে পা ডুবে যাচ্ছে। শরীর সিরসির করছে। গায়ে কাঁপন লাগছে। নদীর পানি এত ঠান্ডা হবার কথা না-। এই নদীর পানি এত ঠান্ডা কেন? মনে হচ্ছে বরফ গলা পানি। ঘটনাটি কী? স্বপ্নের নদী না তো?
তোমাদের জন্য রূপকথা book cover
#151

তোমাদের জন্য রূপকথা

1998

নির্বাচিত গল্প book cover
#152

নির্বাচিত গল্প

2000

নির্বাচিত গল্প \* ফেরা \* পাথর \* আরোময় \* আয়না \* ভয় \* জলিল সাহেবের পিটিসন \* খাদক \* সাদা গাড়ি \* যন্ত্র \* শৃঙ্খলা \* ব্যাধি \* জনক \* একটি নীল বোতাম \* অসময় \* জ্বীন- \* চোর \* জলকন্যা \* পাপ \* তুচ্ছ \* উনিস শ’ একাত্তর \* কুকুর \* খেলা \* নিমধ্যমা \* অসুখ \* একজন ক্রীতদাস \* মন্ত্রীর হেলিকপ্টার \* অচিনবৃক্ষ
বৃষ্টি বিলাস book cover
#153

বৃষ্টি বিলাস

2000

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, এসো করো স্নান নবধারাজলে।। দাও আকুলিয়া ঘন কালো কেশ, পরো দেহ ঘেরি মেঘনীল বেশ- কাজলনয়নে, যূথিমালা গলে, এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে, আজি ক্ষণে ক্ষণে হাসিখানি, সখী, অধরে নয়নে উঠুক চমকি। মল্লারবগানে তব মধুস্বরে দিক্‌ বাণী আনি বনমর্মরে। ঘনবরিষনে জলকলকলে এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে।।
শুভ্র book cover
#155

শুভ্র

2000

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ Little Fly, Thy summer's play My thoughtless hand Has brush'd away Am not l A fly like thee? Or art not thou A man like me ? For i dance And drink & sing. Till some blind hand Shall brush my wing. Lf thought is life And strength & breath: And the want Of thought in death; Then am I A happy fly, If live, Or if I die. \-William Blake ভূমিকাঃ শুদ্ধতম মানুষ কেমন হবে? অনেক প্রশ্নের মতো এই প্রশ্নটা আমার প্রায়ই আসে। আমি আমার চারপাশের মানুষজন খুব মত দিয়ে দেখি। এক ধরনের গোপন অনুন্ধান চলতে থাকে-যদি কোনো শুদ্ধ মানুষের দেখা পেয়ে যাই। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিযেতো আমি শুদ্ধতম মানুষ খুঁজে বের করতে পারব না। আমাকে খুঁজতে হবে আমার পরিচিতজনদের মধ্যে। দীর্ঘ দিনের অনুসন্ধানে কোনো লাভ হয় নি। শুদ্ধ মানুষ আমাকে সৃষ্টি করতে হয়েছে। কল্পনায়। শুভ্র সে রকম একজন। বেচারার চোখ মুখ খুব খারাপ। চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ। তার ক্লাসের বন্ধূরা তাকে ডাকে কানাবাবা! শুদ্ধ মানুষের চোখ খারাপ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাকে চোখ খারাপ দেখানোর পেছনের প্রধান যুক্তি সম্ভবত আমি, আমার নিজের চোখও ভয়ঙ্কর খারাপ (পাঠকরা দয়া করে ভাববেন না যে আমি নিজেকে খুব সূক্ষ্মভাবে শুদ্ধতম মানুষ বলার চেষ্টা করছি। কোনো শুদ্ধ মানুষের একশ’গজের ভেতর যাবার যোগ্যতা আমার নেই) যাই হোক, শুভ্র চরিত্রটি তেরি হলো। বেশ কিছু উপন্যাস লিখলাম শুভ্রকে নিয়ে, যেমন রূপালী রাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ। তারপর হঠাৎ করেই শুভ্রকে নিয়ে লেখা বন্ধ করে দিলাম। আমার কাছে মনে হলো আমি ভুল করছি, শুদ্ধতম, মানুষ বলে কিছু নেই। শুভ্র চরিত্রটি নতুন করে লিখতে হবে। বর্তমান উপন্যাসটি ‘শ্রভ্র’ নামে পাক্ষিক ‘অন্যদিন’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। খুবই অনিয়মিতভাবে লিখেছে। এক সংখ্যায় লিখলাম, পরের দু সংখ্যায় লিখলাম না-এ রকম। শেষের দিকে এসে কোনো রকম ঘোষণা ছড়াই লেখা বন্ধ করে দিলাম। ‘অন্যদিন’-এর পাঠক-পাঠিকা এবং বিশেষ করে পত্রিকা সম্পদকের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মানুষ মাত্রই ক্ষমা করতে পছন্দ করে। তাঁরা আমাকে ক্ষমা করবেন বা ইতিমধ্যেই ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। হুমায়ূন আহমেদ ধানমণ্ডি, ঢাকা
আজ চিত্রার বিয়ে book cover
#157

আজ চিত্রার বিয়ে

2001

আজ চিত্রাদের বাড়ির পরিস্থিতি খুবই অস্বাভাবিক। অথচ বাড়ির সবাই ভাব করছে যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আজকের দিনটা আলাদা কোনো দিন না। অন্য আর দশটা দিনের মতই। সবাই অভিনয় করে স্বাভাবিক থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে।
দশটি উপন্যাস book cover
#159

দশটি উপন্যাস

2001

দশটি উপন্যাস \* অচিনপুর \* অন্যদিন \* তোমাকে \* দেবী \* আগুনের পরশমনি \* দূরে কোথাও \* আকাশ জোড়া মেঘ \* সাজঘর \* জনম জনম \* কোথাও কেউ নেই
বৃষ্টি ও মেঘমালা book cover
#160

বৃষ্টি ও মেঘমালা

2001

গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না। চাবি ঘুরালে ভররর জাতীয় ক্ষীণ শব্দ হচ্ছে। শব্দে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। । হাসান লীনার দিকে তাকিয়ে বিরক্ত মুখে বলল, কী করা যায় বলাে তাে? লীনা ঢোক গিলল। হাসানকে সে অসম্ভব ভয় পায়। অফিস-বসকে ভয়। পাওয়া দোষের কিছু না। ভয় লাগামছাড়া হওয়াটা দোষের। হাসান জিজ্ঞেস করেছে— কী করা যায় বল তাে। নির্দোষ প্রশ্ন। স্মার্ট মেয়ে হিসেবে লীনার বলা উচিত ছিল- স্যার চলুন আমরা একটা ক্যাব নিয়ে চলে যাই। তা না বলে সে ঢোক গিলছে। ঠোক গেলার মতাে প্রশ্ন তাে । পিএ-র প্রধান দায়িতু বসের মেজাজের দিকে লক্ষ্য রাখা। তাঁর সমস্যার সমাধান দেবার চেষ্টা করা। তা না করে সে খাতাপত্র নিয়ে জড়ভরতের মতাে বসে আছে। হাসান বলল, লীনা কটা বাজে দেখ তাে। লীনা আবারাে সেঁক গিলল। তার হাতে ঘড়ি নেই। সবদিন ঘড়ি থাকে, শুধু আজই নেই। ঘড়ি পরতে ভুলে গেছে। সে যখন বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় উঠেছে তখন তার মা দোতলার বারান্দায় এসে বলেছেন, ‘লীনা তুই ঘড়ি ফেলে গেছিস। লীনা বলেছে, “থাক লাগবে না। এটা না করে সে যদি রিকশা থেকে নেমে ঘড়িটা নিয়ে আসত। তাহলে সময় বলতে পারত। হাসান বলল, তােমার ঘড়ি নেই ? স্যার। | ‘ঘড়ি কিনে নাও না কেন ? ঘড়ি ছাড়া কি চলে। এই সময়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে ঘড়ি দেখতে হয়। ঘড়ি তাে এখন শস্তা। তিনশ-চারশ টাকায় সুন্দর সুন্দর ঘড়ি পাওয়া যায়।
মৃন্ময়ী book cover
#161

মৃন্ময়ী

2001

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীল পদ্ম book cover
#162

হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীল পদ্ম

2008

সূচিঃ ১। একজন মায়াবতী ২। কৃষ্ণপক্ষ ৩। পেন্সিলে আঁকা পরী ৪। আমার আছে জল ৫। মেঘ বলেছে যাব যাব
বাঘবন্দি মিসির আলি book cover
#163

বাঘবন্দি মিসির আলি

2001

ঘিঞ্জি এক বাড়িতে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন মিসির আলি। সঙ্গী বলতে ইয়াসিন নামে এক ছিন্নমূল কিশোর। মাঝে মাঝে দেখা হয় বাড়িওয়ালা বদরুল সাহেবের ভাগ্নে ফতে মিয়ার সাথে। মিসির আলির বড় ভক্ত সে। ফতে মিয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে। কী সেই ক্ষমতা? গোপনে কোন দুরভিসন্ধি আঁটছে ফতে? মিসির আলি কি পারবেন অসীম ক্ষমতাধর ফতেকে বাঘবন্দি খেলায় হারিয়ে সেই প্ল্যান আটকাতে?
অচিনপুর book cover
#165

অচিনপুর

2002

আমরা যে পরিচিত জগতে বাস করি সেই জগৎ কি আসলেই পরিচিত ? যে সব চরিত্রকে আমরা চিনি বলে মনে করি তাদেরকে কি আসলেই চিনি ? আমরা কি সব সময়ই অচিনপুরে বাস করছি না ?
আজ আমি কোথাও যাব না book cover
#166

আজ আমি কোথাও যাব না

2002

জয়নাল দু’বার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে- দু’বারই ধরা খেয়েছে। নকলের খুব সুবিধা ছিল। শিক্ষকরাও নকল সাপ্লাই-এ সাহায্য করেছেন, তাতেও লাভ হয়নি। এই জয়নাল ছোট মানুষ হয়েও অনেক বড় স্বপ্ন দেখে। শামসুদ্দিন সাহেব নান্দাইল হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষক। সারা জীবনে একটি ও মিথ্যা কথা বলেন নি। কোনো মন্দ কথা বলেন নি। তিনি অনেক বড় মানুষ হয়েও ছোট স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখে রাহেলা ও ইতি। একেক জনের স্বপ্ন একেক রকম। ‘আজ আমি কোথাও যাব না’ কিছু মানুষের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প।
তারা তিনজন book cover
#168

তারা তিনজন

1984

নিওলিথী সভ্যতার ধ্বংসাবশেষে বাস করে তিন - অদ্ভুত প্রাণী, লী, অয়ু আর নীম। তারা তিনজন ছাড়া গ্রহটিতে প্রাণের আর কোন চিহ্ন নেই। অদ্ভুতদর্শন এই প্রাণীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। প্রত্যেকের ১১ টি করে পা, ৩৬ টি চোখ আর একজোড়া 'লুখ' আছে। প্রকান্ড সেই গ্রহে তাদের কিছুই করার নেই, তাই তারা বসে বসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভেবে সময় কাটায়। জটিল জটিল সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করে। হঠাৎ একদিন সেই নির্জন গ্রহে হাইপারডাইভ দিয়ে একদল মানুষ স্কাউটশিপে করে এসে পড়ে তাদের মাঝে। দুইপক্ষই জানতে চায় পরস্পরকে। লী, অয়ু আর নীম বুঝতে পারে মানুষের কাছ থেকেই তারা জানতে পারবে তাদের সৃষ্টি রহস্য। তবে মানুষ ভয় পায় এই অতি বুদ্ধিমান প্রাণীদের... শেষপর্যন্ত কি তারা তিনজন নিজেদের সৃষ্টির ইতিহাস জানতে পারলো? ভেদ কি হলো নিওলিথী সভ্যতার রহস্য? লেখকের কথাঃ 'তারা তিনজন' বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীটি লেখার ইতিহাসটা বলি- স্টিমারের করে যাচ্ছি বরিশাল। সুন্দর কেবিন, বেশ ভাল ব্যবস্থা। রাতে ঘুমোতে যাবার সময় দেখি, কেবিনে আমি একা নই। প্রকাণ্ড এক মাকড়শা, বুকে ডিমের থলি নিয়ে এই কেবিনেই বসবাস করছে। ছুটে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলাম। ব্যাখ্যার অতীত কোনো এক কারণে মাকড়শা নামক নিরীহ প্রাণীটিকে আমি অসম্ভব ভয় পাই। কেবিনে ফিরে গেলাম না। রাত কাটিয়ে দিলাম ডেকে হাঁটাহাঁটি করে। কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্যে মাকড়শা নিয়ে একটা গল্প ভাবতে লাগলাম। পুরো গল্প মাথায় তৈরি হয়ে গেল। গল্পের পাত্র-পাত্রী তিনজন। তারা মানুষ নয়-অসম্ভব বুদ্ধিমান তিনটি প্রাণী-দেখতে মাকড়শার মতো। গল্পটি নিয়ে ভাবার সময় খুব আনন্দ পেয়েছি। লেখার সময়ও আনন্দ পেয়েছি। পাঠক-পাঠিকাদের এই খবরটা দেয়া জরুরি মনে করছি।
নীল মানুষ book cover
#171

নীল মানুষ

2003

ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। মেয়েদের একটা ছাতা নিয়ে ফরহাদ উদ্দিন এগোচ্ছেন। তাঁর খুবই ভালো লাগছে। রাস্তায় পানি জমে আছে। ফুটপাত পর্যন্ত এখনো পানি উঠে নি। তিনি ফুটপাত দিয়ে না হেঁটে রাস্তার নোংরা পানিতে পা ফেলে ছপ ছপ শব্দ করতে করতে এগুচ্ছেন। হলুদ স্ট্রীট ল্যাম্প জ্বলছে। হলুদ আলো পানিতে নানারকম নকশা তৈরি করছে। দেখতে এতো ভালো লাগছে। ফরহাদ উদ্দিনের মনে হল আরেকটু পানি হয়ে পুরো রাস্তাটা ডুবে গেলে ভালো হত। রাস্তাটাকে মনে হতো নদী। একটা মানুষ নদীর ওপর হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে। কী মজার ব্যাপার।
ভূতসমগ্র book cover
#172

ভূতসমগ্র

2002

\*নি \*দেবী \*নিশীথিনী \*আয়নাঘর \*বৃহন্নলা \*ভংয়ঙ্কর ভুতুড়ে \*যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ \*বোতল ভূত \*আমি এবং আমরা \*বিপদ
বাসর book cover
#175

বাসর

2002

একজন নিঃসঙ্গ মানুষ। তিনটি যুবতী। একজন নিশিকন্যা। পাঁচজনের অতি বিচিত্র গল্প। তিন যুবতী নিজেদের সব সময় বোরকায় ঢেকে রাখে। নিঃসঙ্গ মানুষটার সঙ্গে হঠাৎ হঠাৎ যখন দেখা হয় তারা একসঙ্গে হাসে। তারা কেন একসঙ্গে হাসে সেটা তারাও জানে না। নিঃসঙ্গ মানুষটা একদিন একজন নিশিকন্যাকে তার বাসায় নিয়ে এলো। শুরু হলো বাসরের গল্প।
একজন মায়াবতী book cover
#176

একজন মায়াবতী

2002

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ শুয়ে শুয়ে অশোক পাতায় মুমূর্ষু শিশির বলে, ‘হায়, কোনো সুখ ফুরায় নি যার তার কেন জীবন ফুরায়?’
৮০ দশকের নির্বাচিত পাঁচটি উপন্যাস book cover
#178

৮০ দশকের নির্বাচিত পাঁচটি উপন্যাস

2002

আশির দশকে প্রকাশিত জনপ্রিয় পাঁচটি উপন্যাসের সংকলন। \* আমার আছে জল \*বাসর \*আকাশজোড়া মেঘ \*সাজঘর \*জনম জনম
আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি book cover
#179

আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি

2003

নিশীথের সুনীরব সমীরের সম, নিশীথের সুনীরব সমীরের সম, নিশীথের সুনীরব জোছনা-সমান অতি-অতি-অতি ধীরে কর সখি গান! ———-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাক ও কাঠগোলাপ book cover
#180

কাক ও কাঠগোলাপ

2003

Title কাক ও কাঠগোলাপ Author হুমায়ূন আহমেদ Publisher অন্যপ্রকাশ ISBN 9789845021494 Edition Revised Edition, 2014 Number of Pages 28 Country বাংলাদেশ Language বাংলা
টগর অ্যান্ড জেরি book cover
#183

টগর অ্যান্ড জেরি

2003

টগর টিভিতে তার প্রিয় ‘টম এন্ড জেরি' কার্টুন দেখছে আর কাঁদছে। সে তার বাবার সঙ্গে মজা করে দেখতো এই কার্টুন। বাবা হতো টম আর সে জেরি। তার বাবা এখন সিঙ্গাপুরে, চিকিৎসার জন্য। আজ তার হার্ট অপারেশন । কী হয়, কী হয়, দারুণ টেনশন। হঠাৎ বিকট শব্দে টিভি বন্ধ হয়ে গেলে টগর দেখে তার সোফায় বসা এক মস্ত ইঁদুর। সে দাবি করে সে-ই কার্টুনের জেরি । টগর বিশ্বাস করতে চায় না। সে মানুষের মতো কথা বলে, সত্যি সত্যি খাবার খায়! এ কী করে সম্ভব ? টগরকে পেয়ে জেরি অনেক কথা বলে। এমনকি তার বাবার চিকিৎসার ভবিষ্যৎ নিয়েও। সিঙ্গাপুর থেকে টগরের মা'র ফোনেও মিলে তার সত্যতা । টগর তার মা'কে কাটুনের জেরিকে ধন্যবাদ জানাতে বলে। মা ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না।
তিনি ও সে book cover
#184

তিনি ও সে

2003

Sorry!! no description of the product.
বোকা রাজার সোনার সিংহাসন book cover
#185

বোকা রাজার সোনার সিংহাসন

2003

Sorry!! There is no description about this product.
ব্যাঙ-কন্যা এলেং book cover
#186

ব্যাঙ-কন্যা এলেং

2003

Sorry!! There is no description about this product.
রজনী book cover
#188

রজনী

2003

Sorry!! There is no description about this product.
রোদনভরা এ বসন্ত book cover
#189

রোদনভরা এ বসন্ত

2003

আগামীকাল মীরুর বিয়ে। যে কোনো মূল্যে তাকে ঘুমাতে হবে। কিন্তু ঘুমের ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও তার ঘুম আসছেনা। বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় কি? অবশ্য দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। বিয়ে হবে কাজীর অফিসে গিয়ে। পরিবারের অমতে। মীরু যে ছেলেকে বিয়ে করবে তার নাম বারসাত। বৃষ্টির নামে নাম। বারসাত অদ্ভুত ধরণের ছেলে। মীরুর কঠিন পরিবার কি তাকে আদৌ মেনে নিবে?
সে আসে ধীরে book cover
#190

সে আসে ধীরে

2003

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা হিমু যে হলুদ পাঞ্জবি পরে ঘুরে বেড়ায় সেই পাঞ্জাবির একটি বিশেষত্ব আছে। কেউ কি সেই বিশেষত্ব লক্ষ করেছে ? একটা সময়ে পাঞ্জাবির রঙ এবং পৃথিবীর রঙ একরকম হয়ে যায়। অদ্ভুত স্বপ্নময় হলুদ আলোয় চারদিক ঝলমল করে ওঠে। এই আলোর আরেক নাম ‘কন্যা সুন্দর আলো’ কারণ এই আলোতে অতি সাধারণ চেহারার মেয়েকেও অদ্ভুত রূপবতী মনে হয়। মনে হয় পৃথিবীর সব রূপ নিয়ে সে পৃথিবীতে এসেছে। আমার প্রায়েই জানতে ইচ্ছা করে যখন এই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হয়- যখন পৃথিবীর রঙ এবং হিমুর হদুল পাঞ্জাবির রঙ এক হয়ে যায়, তখন হিমু কী করে ? সে কী ভাবে ? তার চেয়েও বড় কথা, হিমুর কাছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের বিশেষত্ব কী?
শ্যামল ছায়া book cover
#191

শ্যামল ছায়া

2003

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা আমার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। উনিশ শ’ একাত্তর সনের পাঁচই মে তাঁকে দেশপ্রেমের অপরাধে পাক আর্মি গুলি করে হত্যা করে। সে-সময় আমার ছোট ছোট ভাইবোনদের নিয়ে বরিশালের এক গ্রামে লুকিয়ে আছি। কী দুঃসহ দিনই না গিয়েছে। বুকের ভেতর কিলবিল করছে ঘৃণা, লকলক করছে প্রতিশোধের আগুন। স্বাধীনতা-টাধীনতা কিছু নয়, শুধু ভেবেছি, যদি একবার রাইফেলের কালো নলের সামনে ওদের দাঁড় করাতে পারতাম। ঠিক একই রকম ঘৃণা, প্রতিশোধ গ্রহণের একই রকম তীব্র আকাঙক্ষা সেই অন্ধকার দিনের অসংখ্য ছেলেকে দুঃসাহসী করে তুলেছিল। তাদের যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না, কোনো সহায় সম্বল ছিল না; কিন্তু শ্যামল ছায়ার জন্যে গাঢ় ভালোবাসা ছিল। আমার ‘শ্যামল ছায়া’ সেইসব বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধা। \-হুমায়ূন আহমেদ
একা একা book cover
#192

একা একা

2003

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ........শাহানাকে পাওয়া গেল তিনতলার বারান্দায়। সেখানে একটা ইজি চেয়ারে আধশোয়া হয়ে বসে ছিল। আমাকে দেখেই সোজা হয়ে বসল। তার বসার ভঙ্গিটা ছিল অদ্ভুত। একটা ক্লান্তির ভঙ্গি। বাবু ভাই কি তাকে কিছু বলেছে ? বিশেষ কোনা কথা। যার জন্য একটি মেয়ের হৃদয় তৃষিত হয়ে থাকে। আমি খুব নরম স্বরে বললাম, বাবু ভাই কি তোমাকে কিছু বলেছে ? শাহানা জবাব না দিয়ে অন্যাদিকে তাকিয়ে রইল। বারান্দার আলো কম বলেই এতক্ষণ চোখে পড়েনি, এখন দেখলাম শাহানার গলা ভেজা। সে তার ভেজা গাল গোপন করার জন্যই অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। কারো গোপন কষ্টে উপস্থিত থাকতে নেই। আমি ঘুরে দাঁড়ালাম।..........
এই শুভ্র! এই book cover
#195

এই শুভ্র! এই

2003

ফ্ল্যাপে লিখা কথা রুনু বসে আছে ইঞ্জিন বসানো ছোট্ট একটা নৌকার পাটাতনে। পাটাতনে শীতলপাটি বিছানো। শুভ্র পা ছড়িয়ে হাতে ভর দিয়ে অদ্ভুত ভঙ্গিতে আধশোয়া হয়ে আছে। তার দৃষ্টি স্থির না। সে সব কিছুর উপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে। মাঝে-মাঝে হাসিমুখে তাকাচ্ছে রুনুর দিকে। মনজু বসেছে মাঝির কাছে। নৌকার অল্প অল্প পানি উঠছে। মনজু অতি ব্যস্ত ভঙ্গিতে সেই পানি তুলে নদীতে ফেলছে। ....
৯০ দশকের নির্বাচিত পাঁচটি উপন্যাস book cover
#196

৯০ দশকের নির্বাচিত পাঁচটি উপন্যাস

2004

একজন মায়াবতী দারুচিনি দ্বীপ কৃষ্ণপক্ষ জল জোছনা পেন্সিলে আঁকা পরী
হিমু মামা book cover
#198

হিমু মামা

2004

হিমু নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে হলুদ পকেটহীন পাঞ্জাবি পড়া এক যুবক, যে রাত-বিরাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় উদ্দেশ্যহীনভাবে, যে সারাক্ষণ জ্ঞানের আলাপ করে- এই ধরনের অনেক কিছু। টগরদের বাড়ির লোকজনেরও ঠিক এমনই ধারণা হিমু সম্পর্কে। কিন্তু টগর! সে কে? টগর হলো এই বইয়েরই প্রধান চরিত্রের একজন। টগরদের বাড়িতে আজ সন্ধ্যার পর বিচারের আয়োজন করা হয়েছে। টগরের ছোট মামা শুভ্রকে ছেচা দেয়া হবে। আর এই বিচার সভার আয়োজক টগরের বড় চাচা হাইকোর্টের প্রাক্তন উকিল চৌধুরী আজমল হোসেন। টগরদের বাড়ির যাবতীয় বিচার তিনিই করেন। তার কথার উপর বাড়ির একজনই কথা বলতে পারেন। তিনি হলেন টগরের দাদী। টগরের ছোট মামা ঘোষণা করেছেন এখন থেকে তার নাম শুভ্র না হিমু। টগর যেন তাকে হিমু মামা বলে ডাকে। এই কথা জানাজানি হওয়ার পরই শুরু হলো বাড়িতে তুলকালাম কাণ্ড। বাড়ির কেউ জানে না, আসলে হিমু কি? শুধু জানে, হিমুরা হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরে বেড়ায়, সারাক্ষণ তারা জ্ঞানের আলাপ করে, কোন অপরাধ করে মিষ্টি করে হাসে, সবচেয়ে বড় কথা রাত-বিরাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। শুভ্র যেন এই পথে না যায়, সেজন্যই বড় চাচা তাকে শাস্তি দিবে বলে ঠিক করেছেন। পরেরদিন দেখা যায়, শুভ্র চৌবাচ্চার পানিতে ডুবে আছে শুধু গলাটা বের করে। হিমু হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় আছে শুভ্র। যদি সে হিমু হতে পারে তাহলে তো সে ভবিষ্যৎও বলে দিতে পারবে সবার! এদিকে টগরদের বাড়িতে শুরু হয়েছে ভৌতিক কিছু কাজকর্ম। বড় চাচার জন্য প্লেটে রাখা কলা হটাৎ করে উধাও, আবার ঘরের এক জিনিস অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে একা একাই। কিন্তু এ কি করে সম্ভব? একদিকে শুভ্রের হিমু হওয়া নিয়ে চিন্তা অন্যদিকে এই ভৌতিক যন্ত্রণা সবমিলিয়ে অতিষ্ঠ টগরদের বাড়ির লোকজন! সেইসব মজার গল্প নিয়েই লেখা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের "হিমু মামা" বইটি!!!
এপিটাফ book cover
#199

এপিটাফ

1995

মানুষের অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকে। দিলশাদের এখন কোন বড় স্বপ্ন নেই। তার সব স্বপ্নই ছোট ছোট স্বপ্ন। একসময় সে খুব স্বপ্ন দেখত। তার বারান্দাটা সে স্বপ্ন দেখার জন্যই সাজিয়েছিল। এই বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে নানা কিছু ভাবতে তার ভাল লাগত। বারান্দা আগের মতই আছে। সে বদলে গেছে। এখন সে ঘুমের অষুধ খেয়ে বারান্দায় এসে বসে। স্বপ্নের জন্য অপেক্ষা করে না। ঘুমের জন্য অপেক্ষা করে। (Jacket)
আঙুল কাটা জগলু book cover
#200

আঙুল কাটা জগলু

2005

This is the 13th novel of the Himu Series by Humayun Ahmed.
এই বসন্তে book cover
#201

এই বসন্তে

1970

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা কড়া রোদ চারদিকে। বাতাস উষ্ণ। গেটের বাইরে প্রকাণ্ড শিমুল গাছের লাল লাল ফুল। বসন্তকালের লক্ষণ এই একটিই। সে একটা সিগারেট ধরিয়ে উদাস চোখে শিমুল গাছের দিকে তাকিয়ে রইল। অ্যাসিন্টেট জেলার সাহেব তাকে শম্ভুগঞ্জ পর্যন্ত রেলের একটি পাস এবং ত্রিশটি টাকা দিয়েছেন। এবং খুব ভদ্রভাবে বলেছেন, জহুর, ভালোমতো থাকবে। ছাড়া পাবার দিন সবাই খুব ভালো ব্যবহার করে। জহুর আমি ছ’বছর তিন মাস পর নীলগঞ্জের দিকে রওনা হলো। কড়া রোড। বাতাস উষ্ণ ও আর্দ্র। বসন্তকাল।
কহেন কবি কালিদাস book cover
#202

কহেন কবি কালিদাস

2005

মিসির আলি ভালো ঝামেলায় পড়েছেন। ঝামেলা সায়রা বানুকে নিয়ে। মেয়েটি যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে তিনি কেমন যেন গুটিয়ে যান। সায়রা বানুর সমস্যাটা জটিল। সে না-কি ইবলিশ শয়তানের সঙ্গে কথা বলেছে। তাকে দেখেছে। সায়রা বানুর বক্তব্য মিসির আলি না পারছেন গ্রহণ করতে, না পারছেন বাতিল করতে। মিসির আলি সারা জীবন যুক্তির সিঁড়ি ব্যবহার করেছেন। আজ তাঁকে যুক্তির বাইরে পা দিতে হচ্ছে। তাঁর মনে ভয় ঢুকে গেছে। রাতে ঘুম ভাঙলে তিনি আতংকিত বোধ করেন। তাঁর মনে হয় ইবলিশ শয়তানের সঙ্গে সম্ভবত তাঁরও দেখা হবে।
ছেলেটা book cover
#203

ছেলেটা

2005

গল্পের ছেলেটার নাম রনি। ছোট্ট একটা ছেলে। ছেলেটার আসল বাবা-মা নেই। ওর বাবা এবং মা দুজনই নকল অর্থ্যাৎ সৎ। কারো হয়তো সৎ বাবা আপন মা কিংবা আপন বাবা সৎ মা হয়। কিন্তু এই ছোট্ট ছেলে রনির বাবা-মা দুজনই সৎ। রনির জন্মের পর মা মারা যায় এবং বাবা আরেকটা বিয়ে করেন। সংসারে আসলো সৎ মা। রনি যখন ক্লাস টু তে পড়ে তখন তার বাবা সমুদ্রে ডুবে মারা যান এবং তারপর সৎ মা আরেকটা বিয়ে করেন। ব্যস, আপন বলতে আর কেউ থাকলো না রনির। ও না, ভুল বললাম। আপন বলতে আছে রনির দাদা আসগর আলী। যিনি রনির দায়িত্ব নিতে চান। এবং একারণে মামলা করেছেন তিনি। রনিকে প্রায়ই কোর্টে যেতে হয়! রনির সৎ বাবা-মায়ের কাছে কোন অসুবিধাই হয় না। সে তার মতো তার জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট নিয়েই রনির ব্যস্ততা। রনির দাদা রনিকে নিতে চাইলেও সে যেতে রাজি না। রনির তেমন কোন বন্ধু নেই। রনির ক্লাসে লুতপা নামের এক মেয়ে আছে যে সারাক্ষণ রনিকে নকল করে, জ্বালায়। রনি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আবার যেদিন লুতপা আসে না স্কুলে তখন লুতপাকে রনি খুব মিস করে। লুতপা ক্লাসে লুতপাইন নামে পরিচিত। হটাৎ একদিন রনির পরিচয় হয় হাব্বত আলীর সাথে। রনির আর্ট টিচার হিসেবে রাখার কথা থাকলেও রনির মায়ের পচ্ছন্দ হয় নি হাব্বত আলীকে। কিন্তু হাব্বত আলীকে ভীষণ পচ্ছন্দ রনির। গন্ডির ভিতর বড় হয়ে উঠা রনিকে কেউ বুঝতো না। এতদিন পর মনের মতো একজন মানুষকে পেলো রনি যে তাকে বুঝে। শুরু হলো রনির অন্যরকম এক জীবন........! তারপর? তারপরের গল্পটুক জানতে না হয় পড়ে ফেলুন বইটি।
পঞ্চকন্যা book cover
#205

পঞ্চকন্যা

2006

সূচিপত্রঃ তোমাকে আমার আছে জল আকাশ জোড়া মেঘ একজন মায়াবতী সে ও নর্তকী
লীলাবতী book cover
#206

লীলাবতী

2005

ফ্ল্যাপে লিখা কথা একটি পুরুষের মধ্যস্থলে একটি জলপদ্ম ফুটিয়াছে। জলপদ্মটি পানির পৃষ্ঠদেশ হইতে এক ফুট উপরে।এমন সময় দমকা বাতাস আসিল, ফুলটি তিনফুট দূরে সরিয়া জল স্পর্শ করিল। পুকুরের গভীরতা নির্ণয় করো। \-লীলাবতী এই ধরনের প্রচুর অংক আমি আমার শৈশবে পাটিগণিতের বইয়ে দেখেছি। অংকের শেষে লীলাবতী নামটি লেখা। ব্যাপারটা কী? লীলাবতী মেয়েটি কে? তার সঙ্গে জটিল এসব অংকের সম্পর্ক কী? যা জানলাম তা হচ্ছে- সপ্তম শতকের বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্যের একমাত্র কন্যার নাম ‘লীলাবতী’। মেযেটির কপালে বৈধব্যযোগ -এই অজুহাতে কন্যাসম্প্রদানের আগে আগে বরপক্ষ মেয়েটির বিয়ে ভেঙে দেয়। লীলাবতী যখন গভীর দুঃখে কাঁদছিল তখন ভাস্করাচার্য বললেন, ‘মা গো, তোমার জন্য কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই, তবে পৃথিবীর মানুষ যেন বহু যুগ তোমাকে মনে রাখে আমি সেই ব্যবস্থা করছি। ‘তিনি তাঁর বিখ্যাত গণিতের বইটির নাম দেন ‘লীলাবতী’। গল্পটি আমাকে এতই অভিভূত করে যে,একরাতে লীলাবতীকে স্বপ্নেও দেখি।এই নামটা মাথার ভেতর ঢুকে যায় । অনেক দিন ইচ্ছা ছিল স্বপ্নে দেখা মেয়েটিকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখব। নাম দেব ‘লীলাবতী’ । ভালো কথা, আমার লীলাবতী গল্প কিন্তু ভিন্ন। আমর উপন্যাসের লীলাবতীর বাবা নাম ভাস্করাচার্য না,সিদ্দিকুর রহমান। তিনি সাধারণ একজন মানুষ। অংকবিদ না।
সেদিন চৈত্রমাস book cover
#208

সেদিন চৈত্রমাস

2005

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা মীরা সুন্দর করে সেজেছে। চোখে কাজল দিয়েছে। কাজল নামের কালো রঙ কি করে চোখে এত সুন্দর করে কে জানে। মেয়েরা উৎসব উপলক্ষে নতুন শাড়ি পরতে পছন্দ করে। বেচারী একটা পুরনো শাড়ি পরেছে। জন্মদিনের কথা শফিকের কিছুই মনে নেই, মনে থাকলে একটা শাড়ি, কিছু ফুল নিয়ে আসতো।
অরণ্য book cover
#209

অরণ্য

2000

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সোবাহান তার ঘরের বারান্দায় উঠে এলো নিঃশব্দে। চারদিকে অন্ধকার। রাত কত হয়েছে ? সবাই কি ঘুমিয়ে পড়েছে ? সো্বাহান মৃদু স্বরে ডাকল, যূথি!যূথি! কেউ সাড়া দিল না সোবাহান গলা উঁচিয়ে দ্বিতীয়বার ডাকল, যূথি!যুথি! মনসুর সাহেব বেরিয়ে এলেন। জলিল সাহেব এলেন। যূথিও এলো। তার হাতে একটা হারিকেন। সে তাকাল অবাক হয়ে। সোবাহান ভাঙা গলায় বলল, যুথি, আমার আজ বড় কষ্ট। যূথি কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল। তারপর এগিয়ে এসে তার দুর্বল রোগা হাতটি রাখল সোবাহানের গায়ে। বাতাসের ঝাপটায় তার অন্য হাতের হারিকেনটি দুলছে। চমৎকার সব নকশা তৈরি হচ্ছে দেয়ালে। যূথি নরম স্বরে বলল, কাঁদবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। কিছুই ঠিক হয় না। তবু মমতাময়ী নারীরা আশ্বাসের কথা বলে। আশ্বাসের কথা বলতে তারা বড় ভালোবাসে।
কুহুরানী book cover
#210

কুহুরানী

2006

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ অনুরোধের ঢেঁকির মতো অনুরোধের উপন্যাসও আছে। অনুরোধের উপন্যাসগুলি সাধারণত ঈদসংখ্যা এবং পূজা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। প্রোটিনের অভাবে অপুষ্ট দেহ। লিকলিকে শরীরে বিরাট পেট। কুহুরানী এরকম একটি উপন্যাস। একটা পত্রিকার ঈদ সংখ্যার লেখা। আমার হাতে সময় মাত্র তিন দিন।পত্রিকার লোক বসার ঘরে শুকরা মুখে বসে আছেন।আমি লিখছি। ছয়-সাত পাতা লেখা হতেই তিনি স্লিপ নিয়ে পত্রিকা অফিসে ছুটে যাচ্ছেন। কম্পোজ করে গেটাপ দিয়ে সাজিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুল ভ্রান্তি? আগে পত্রিকা বের হোক, ভুল ভ্রান্তি পরে দেখা যাবে। অনুরোধের কুহুরানীকে বই হিসেবে ঠিকঠাক করতে অনেক কষ্ট করতে হলো্ কুহুরানী প্রকাশনার দিনে ছোট্ট একটি প্রতিজ্ঞা করছি-অনুরোধের উপন্যাস আর না।
মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই book cover
#213

মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই

2006

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা: মৃন্ময়ীর মনটা কি শরতের আকাশ? প্রায়ই মেঘ দেখা যায় তবে সে মেঘ বাতাসে ফুলে ওঠা নৌকার ধবধবে শাদা পালের মতো। আষাঢ়ের অশ্রু ভরা কালো মেঘ না। তাহলে আজকের ঘটনাটা কী? মৃন্ময়ীর মন ভাল নেই কেন? হুমায়ূন আহমেদ তাঁর যাদুর বলপয়েন্ট উনিশ বছরের এক তরুণীর মত ভাল না থাকার ব্যাখ্যা করবেন। আসুন না দেখি উনি কী বলেন। মৃন্মায়ীর মতো মেয়ের মত ভাল না থাকার কারণটা জানা প্রয়োজন না?
লিলুয়া বাতাস book cover
#214

লিলুয়া বাতাস

2006

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
হলুদ হিমু কালো র‍্যাব book cover
#215

হলুদ হিমু কালো র‍্যাব

2006

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ আমার নতুন অবস্থান বর্ণনা করি। আমি হাতলবিহীন কাঠের চেয়ারে বসে আছি। নড়াচড়া করতে পারছি না। আমার হাত পেছনের দিকে বাঁধা।বজ্র আঁটুনি। ফস্কা গিরোর কোনো কারবারই নেই। টনটন ব্যাথা শুরু হয়েছে। আমর সামনে ব সেক্রেটারিয়েট টেবিলের মতো টেবিল। টেবিলের ওপাশে তিন জন বসে আছেন। মাঝখানে যিানি আছেন তাঁর হাতে চেঙ্গিস খানের বই।তিনি অতি মনোযোগে বইটি দেখছেন। বইটার বেতর সাংকেতিক কিছু আছে কিনা ধরার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে। এক দুই লাইন করে মাঝে মধ্যে পড়েন এবং ভুরু কুঁচকে ফেলেন। ভূমিকাঃ হিমুর যেন ভূমিকা নেই, হিমুকে নিয়ে লেখা উপন্যাসেরও ভূমিকা থাকার কোনো কারণ নেই। তারপরেও লিখিতভাবে বলছি, এই বইয়ের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক। এদের কারো সঙ্গেই আমার কোনোদিন দেখা হয় নি। হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী, গাজীপুর
হিমু সমগ্র book cover
#216

হিমু সমগ্র

2006

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
কিছু শৈশব book cover
#219

কিছু শৈশব

2007

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ ছয়-সাত বছরের একটি বালক জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সে বৃষ্টি দেখছে। সিলেটের বিখ্যাত বৃষ্টি। ফিনফিনে ইলসেগুঁড়ি না, ঝুম বৃষ্টি। এই বৃষ্টি এক নাগাড়ে সাতদিন পর্যন্ত চলতে পারে। ছেলেটি বৃষ্টি দেখছে তবে তার দৃষ্টিতে মুগ্ধতা নেই, বিস্ময়বোধ নেই, আছে দুঃখবোধ এবং হতাশা। তাকে সারাদিনের জন্যে আটকে রাখা হয়েছে। আজ সে ঘর থেকে বের হতে পারবে না। সে একটি গুরুতর অপরাধ করেছে।...... উপন্যাস লিখছি না। নিজের শৈশবের কথাই লিখছি। পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। সবকিছু হুবহু মনে নেই। যে সব জায়গা মনে নেই সেসব জায়গায় Fill up the blank করেছি। লেখকের স্বাধীনতাও ব্যবহার করেছি, তবে যেটুকু না করলেই নয় শুধু ততটুকুই। \-হুমায়ূন আহমেদ ভূমিকাঃ মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে তখন সে ব্যাকুল হয়ে পেছনে তাকায়। আমার মনে হয় তাই হয়েছে। সারাক্ষণই শৈশবের কথা মনে পড়ে। কী অপূর্ব সময়ই না কাটিয়েছি! শৈশবের খণ্ডচিত্র প্রথমে ছাপা হয়েছিল সিলেট বাজার পত্রিকায়। গ্রন্থকারে প্রকাশের সময় কিছু কাটাকুটি খেলা খেলেছি। \-হুমায়ূন আহমেদ
কিছুক্ষণ book cover
#220

কিছুক্ষণ

2007

ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘আমার রাতের ট্রেন মা বলিলেন, ঘুমো তুই! ডেকে দেব সময়ের আগে’। বহুদিন কেটে গেছে এখনো সময়ের আগে আমাকে সবাই কেন ডাকে? ভূমিকা ট্রেন দেখলেই আমার ট্রেনে চড়তে ইচ্ছা করে। ঢাকা শহরে অনেকগুলি রেল ক্রসিং। গাড়ি নিয়ে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন যায় আর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ভারি ট্রেনের যাত্রীরা কি সুখেই না আছে। আমার এই উপন্যাসটা ট্রেনের কামরায় শুরু, সেখানেই শেষ। কাহিনী শেষ হয়ে গেছে-ট্রেন চলছেই। মনে হচ্ছে এই ট্রেনের শেষ গন্তব্য অপূর্ব লীলাময় অলৌকিক কোনো ভুবন। উপন্যাসের নাম ‘কিছুক্ষণ’ ধার করা নাম। ধার করেছি আমার প্রিয় একজন লেখক বনফুলের (বলাই চাঁদ মুখোপা্ধ্যায়) কাছ থেকে। হুমায়ূন আহমেদ ৭-২-২০০৭
দেখা না দেখা book cover
#222

দেখা না দেখা

2007

লেখকের চীন, ত্রিপুরা, সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা, থাইল্যান্ডের ভ্রমণ কাহিনি।
মধ্যাহ্ন ১ book cover
#223

মধ্যাহ্ন ১

2007

দুই খণ্ডে লেখা এই উপন্যাসটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। লেখকের মতে, এটি কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস না। তবু ১৯০৫ সাল থেকে শুরু করে দেশবিভাগের পূর্বের সময়টুকুতে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন, অন্তর্দ্বন্দ্ব, সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষসহ অনেক কিছুই উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।
শ্রেষ্ঠ হিমু book cover
#224

শ্রেষ্ঠ হিমু

2007

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
অপরাহ্ণ book cover
#225

অপরাহ্ণ

2008

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা বেশ শক্ত বাতাস দিচ্ছে। ঠাণ্ডা কনকনে হাওয়া। হয়ত বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও। খবির হোসেন তাকিয়ে আছেন অন্তুর দিকে। অন্তু ছোট ছোট পা ফেলে এগুচ্ছে। যেন কেউ তাকে থামাতে পারবে না। ভূমিকা ‘অপরাহ্ন’ ঈদ সংখ্যা বিচিত্রায়(১৯৮৭) প্রথমা প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় গল্পে কিছু আদল-বদল করছি। দুটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছি। কারণ মূল গল্প আমার কাছে অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল। অবশ্যি এখন যে খুব সম্পূর্ণ মনে হচ্ছে তা না। সম্পূর্ণতার তৃপ্তি এখনো পাচ্ছি না। কিছু কিছু লেখায় আমার এ রকম হয়। অতৃপ্তি ব্যাপারটি কাঁটার মতো বিঁধে থাকে। মনে হয় এ লেখাটা না লিখলেও তো পারতাম। তবু বিচিত্র কারণে প্রচুর প্রশংসা এই লেখাটির জন্যে ছুটে গেছে। ‍প্রচুর মমতা ও প্রচুর ভালবাসায় যে সব লেখা লিখেছি বেশির ভাগ সময়ই দেখেছি কেই সে সব নিয়ে কথা বলেন না। আবার নিতান্ত হেলাফেলার লেখাগুলির কথা আগ্রহ নিয়ে বলেন। কে জানে রহস্যটা কি!
আনন্দ বেদনার কাব্য book cover
#226

আনন্দ বেদনার কাব্য

2008

সূচিপত্র \* আনন্দ বেদনার কাব্য \* এইসব দিনরাত্রী \* ঊনিশ শ একাত্তর \* জলছবি \* খেলা \* শিকার \* পাখির পালক \* অসুখ \* কবি
মধ্যাহ্ন ২ book cover
#227

মধ্যাহ্ন ২

2008

দুই খণ্ডে লেখা এই উপন্যাসটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। লেখকের মতে, এটি কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস না। তবু ১৯০৫ সাল থেকে শুরু করে দেশবিভাগের পূর্বের সময়টুকুতে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন, অন্তর্দ্বন্দ্ব, সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষসহ অনেক কিছুই উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।
মধ্যাহ্ন অখণ্ড book cover
#228

মধ্যাহ্ন অখণ্ড

2008

_"মধ্যাহ্ন অখণ্ড প্রকাশিত হল। প্রথম এবং দ্বিতীয় খন্ড যুক্ত হয়ে ‘অখণ্ড’ প্রকাশনা। পাঠকরা অনেকেই জানতে চাচ্ছেন তৃতীয় খণ্ড বলে কিছু আছে কি-না? আপাতত আমার জবাব ‘না’। তৃতীয় খণ্ড মানেই দেশভাগ, হতাশা, কষ্ট, গ্লানি এবং মৃত্যুর গাথা। এইসব লিখতে ভালো লাগে না। তারপরেও কিছুই বলা যায় না। তৃতীয় খণ্ড লিখে ফেলতেও পারি। তখন আবারো আরেকটি অখণ্ড প্রকাশিত হবে। সেখানে লেখা থাকবে ‘মধ্যাহ্ন অখণ্ড (আল্লার কসম)’ পাঠকরা যে আগ্রহ এবং মমতায় ‘মধ্যাহ্ন’ গ্রহণ করেছেন তাতে আমি অভিভূত। আমার লেখক জীবন ধন্য।"_ হুমায়ূন আহমেদ ১৯/২/০৮ দখিন হাওয়া ধানমন্ডি
মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ book cover
#229

মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ

2008

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
মিসির আলির চশমা book cover
#230

মিসির আলির চশমা

2008

ফ্ল্যাপে লিখা কথা একটি স্থলের প্রাণী, কিন্তু সে সারাজীবন থাকে জলে। একটি জলের প্রাণী যে জীবন কাটায় স্থলে। এই প্রাণী দু’টির নাম যিনি বলতে পারবেন, তার বুদ্ধি মিসির আলির মতো। যারা পারবেন না, তাদের বুদ্ধি হুমায়ূন আহমেদের মতো।
হরতন ইশকাপন book cover
#231

হরতন ইশকাপন

2003

ফ্ল্যাপে লিখা কথা মিসির আলিকে চেনেনা এমন পাঠক খুব কমই আছেন। চাক্ষুস দেখিনি, পরিচয় নেই, কিন্তু কত জানাচেনা এই লোকটি। দীর্ঘদিনের জানা। ‍ওর হাসি-খুশিতে আনন্দ পাই, ব্যাথায় হই ব্যাথিত । মানব জীবনের রূপ-রস-রহস্য ও হাসি-কান্না-বেদনার অপূর্ব এক প্রকাশ এই মিসির আলি ও তার পার্শ্ব চরিত্র। জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ-এর অপূর্ব সৃষ্টি এই মিসির আলি। হরতন ইশকাপন মিসির আলি সিরিজের বইগুলোর মধ্যে অত্যুজ্জ্বল সৃষ্টি। হরতন ইশকাপন-এ মিসির আলির সঙ্গে যোগ দিয়েছে যাদুবিদ্যায় পারদর্শী মনসুর, মানসিক রোগী রেবু, বাড়িওয়ালা আজমল সাহেব ও কাজের মেয়ে আঁখিতারা।
হিমু রিমান্ডে book cover
#232

হিমু রিমান্ডে

2008

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা দুপুরে হেভি খাওয়াদাওয়া হলো। খালু সাহেব অফিসে যান নি। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া। শুনলাম কয়েকদিন ধরেই তিনি অফিসে যাচ্ছেন না। তাঁর যে শরীর খারাপ তাও না। তবে চোখে ভরসা হারানো দৃষ্টি। হড়বড় করে অকারণে কথা বলে যাচ্ছেন। পৃথিবীর সবচে’স্বদু খাবার কী- এই বিষয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন। তাঁর মতে হরিয়াল পাখির মাংস পৃথিবীর সবচে’স্বাদু খাবার। কারণ এই পাখি বটফল খায়, মাছ খায় না। হরিয়াল পাখি কীভাবে রান্না করতে হয় সেই রেসিপিও দিলেন। সব পাখির মাংসে রসুন বেশি নাগে, হরিয়ালের ক্ষেত্রে লাগে না। কারণ এই পাখির শরীরেই রসুনটাইপ গন্ধ। নার্ভাস মানুষরা নার্ভাসনেস কাটাতে অকারণে কথা বলে। খালু সাহেব কোনো কারণে নার্ভাস। ঘটনা কিছু একটা অবশ্যই আছে, তা যাথাসময়ে জানা যাবে।
অতিপ্রাকৃত book cover
#234

অতিপ্রাকৃত

2008

ভূমিকা ‘অতিপ্রাকৃত’ আমার কিছু উদ্ভট উপন্যাসের সংকলন। এদের ভৌতিক বা সুরারিয়েলিস্টক লেখা বলা যাবে না, সায়েন্স ফিকশনও না। এদের আলাদা কোনো নাম না পেয়ে অতিপ্রাকৃতি নামের আশ্রয়ে এসেছি। লেখাগুলি আমার পছন্দের। পাঠকদের প্রতি ছোট্ট আবেদন তারা যেন এই লেখাগুলি দিনের আলোয় না পড়েন। অন্য ধরনের এই উপন্যাসগুলি নিশিপাঠের জন্যে। হুমায়ূন আহমেদ নুহাশপল্লী সূচিপত্রঃ দ্বিতীয় মানব কুটুমিয়া পারুল ও তিনটি কুকুর বিপদ পোকা
জন্মদিনের উপহার book cover
#235

জন্মদিনের উপহার

2008

#মিসির আলী বিষয়ক উপন্যাস অন্যভূবন #হিমু বিষয়ক উপন্যাস হিমু মামা #ভুতুড়ে উপন্যাস বোতল ভুত #কিশোর উপন্যাস ছেলেটা পুতুল নুহাশ এবং আলাদীনের আশ্চর্য চেরাগ #সায়েন্স ফিকশন নিউটনের ভুল সূত্র নিমধারা জাদুকর তাহারা কুদ্দুসের এক দিন #মিসির আলী বিষয়ক গল্প চোখ #রূপকথা বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণরেখা কানী ডাইনী রানী কলাবতী বোকা দৈত্য আলাউদ্দীনের চেরাগ আয়না বনের রাজা মিতুর অসুখ #রহস্যগল্প লিপি #ভুতুড়ে গল্প এক ভয়ংকর অভিযানের গল্প গুনীন নিজাম সাহেবের ভূত #উদ্ভট গল্প গোবর বা্বু শবযাত্রা #স্মৃতিকথা জোছনার ফুল #নাটিকা স্মৃতিচিহ্ন
শুভ্র সমগ্র book cover
#236

শুভ্র সমগ্র

2008

দারুচিনি দ্বীপ রূপালী দ্বীপ শুভ্র এই শুভ্র এই শুভ্র গেছে বনে
মিসির আলি সমগ্র ১ book cover
#237

মিসির আলি সমগ্র ১

2008

Misir Ali samagro by Humayun Ahmed প্রচ্ছদ ও অলংকরণ – ধ্রুব এষ ফ্ল্যাপে লিখা কথা মিসির আলী সমগ্র-১ এর উপন্যাস সমূহ \* দেবী \* নিশীথিনী \* নিষাদ \* অন্যভুবন \* বৃহন্নলা \* ভয় \* বিপদ \* অনীশ \* মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য \* আমি এবং আমরা \* তন্দ্রাবিলাস \* হিমুর দ্বিতীয় প্রহর \* আমিই মিসির আলি \* বাঘবন্দি মিসির আলি \* কহেন কবি কালিদাস \* হরতন ইশকাপন \* মিসির আলির চশমা
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ১ book cover
#239

হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ১

2008

উপন্যাসঃ নন্দিত নরকে শঙ্খনীল কারাগার অচিনপুর নির্বাসন শ্যামল ছায়া সৌরভ ছোটগল্পঃ নিশিকাব্য সায়েন্স ফিকশন তোমাদের জন্য ভালোবাসা স্মৃতিকথা আমার ছেলেবেলা নাটকঃ নৃপতি শিশুতোষ রচনাঃ নীল হাতি
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ২ book cover
#240

হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ২

2008

উপন্যাস : \* অন্যদিন \* এই বসন্তে \* সবাই গেছে বনে \* তোমাকে ছোটগল্প : \* আনন্দ বেদনার কাব্য সায়েন্স ফিকশন : \* তারা তিনজন উপাখ্যানমালা : মিসির আলী \* দেবী পুনর্কথন: \* অমানুষ শিশুতোষ রচনা : \* তোমাদের জন্য রূপকথা
অন্যদিন book cover
#241

অন্যদিন

1983

এই দিনত দিন নয় আরও দিন আছে এই দিনেরে নিব আমি সেই দিনের কাছে।
অমানুষ book cover
#242

অমানুষ

1985

কাজী আনোয়ার হোসেন সম্পাদিত রহস্য পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। গল্পের কাঠামো এ. জে. কুইন্যালের [ম্যান অন ফায়ার](https://www.goodreads.com/book/show/1744963) থেকে নেয়া। কাঠামোগত সামান্য মিল ছাড়া ম্যান অন ফায়ারের সাথে এ বইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। \- হুমায়ূন আহমেদ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ book cover
#244

আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ

2009

১৩টি ছোটগল্পের সংকলন। \* মিস মনোয়ারা \* কাকারু \* পঙ্গু হামিদ \* ফোর্টি নাইন \* সগিরন বুয়া \* নয়া রিকশা \* আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ \* আনোভা \* তিনি \* আলাউদ্দিনের ফাঁসি \* ভালোবাসা \* টিকটিকি \* ভূত
গল্প পঞ্চাশৎ book cover
#245

গল্প পঞ্চাশৎ

2009

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
চক্ষে আমার তৃষ্ণা book cover
#246

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

2009

চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো, তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে। আমি বৃষ্টি বিহীন বৈশাখী দিন, সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে ঝড় উঠছে তপ্ত হাওয়ায় মনকে সুদূর শূন্যে ধাওয়ায়- অবগুণ্ঠন যায় যে উড়ে যে ফুল কানন করত আলো কালো হয়ে সে শুকালো। ঝরনারে কে দিল বাধা-নিষ্ঠুর পাষাণে বাঁধা দুঃখের শিখরচূড়ে।
ছায়াসঙ্গী book cover
#247

ছায়াসঙ্গী

1991

সূচীপত্র: \* ছায়াসঙ্গী \* শবযাত্রা \* ওইজা বোর্ড \* সে \* দ্বিতীয়জন \* বেয়ারিং চিঠি \* বীণার অসুখ \* কুকুর \* ভয় পূর্বকথা আপনি কি ভূত বিশ্বাস করেন? আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, আমি মজা করার জন্য প্রতিবারই বলেছি- ভূত-প্রেত বিশ্বাস করি তবে মানুষ বিশ্বাস করি না। উত্তর ঠিক না। কোনো অতিপ্রাকৃত ব্যাপারে আমার বিশ্বাস নেই। চল্লিশ বছর পার করে দিয়েছি, এখন পর্যন্ত ভূত দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনোটাই হয়নি। আমার অতিপরিচিত কেউও ভূত দেখেছেন বলে আমার জানা নেই। তা হলে হঠাৎ করে ভূতের গল্প লিখতে বসলাম কেন? আসলে গল্পগুলি ঠিক ভূতের নয়- অন্যরকম অভিজ্ঞতার গল্প, যে- অভিজ্ঞতা আমাদের প্রায় সবারই আছে এবং চট করে ব্যাখ্যা করা যায় না। উদাহরণ দিই- ছোটবেলায় মরিয়ম বলে আমাদের একটা কাজের মেয়ে ছিল। বয়স বারো-তেরো। অসম্ভব বোকা। তার ঘুম ছিল প্রবাদের মতো। বাথরুমে কাপড়ে সাবান মাখাতে মাখাতে ঘুমিয়ে পড়ত, চুলায় চায়ের কেতলি বসিয়ে ঘুমিয়ে পড়ত। এই মেয়েটা কোনো এক বিচিত্র উপায়ে ভবিষ্যৎ বলত। ঘর ঝাঁট দিতে দিতে হঠাৎ হয়েতো বলল, আইজ আমরার বাসাত বুড়া কিসিমের একটা লোক আসব, সাথে ছোট মাইয়া। লোকটার শহল্যে হইলদা জামা। সত্যি সত্যি তা-ই হতো। মরিয়ম ভবিষ্যদ্বাণী করেছে অথচ তা হয়নি এই নজির নেই। ভবিষ্যদ্বাণীগুলি কীভাবে করত তা সে নিজেও জানে না। প্রশ্ন করলে বলত- চউক্ষের সামনে দেহি। ক্যামনে দেহি জানি না। আমাদের পরিবারে একটি বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার পর এবং সেই ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে-অক্ষরে মিলে যাবার পর তাকে ছাড়িয়ে দেয়া হয়। এই পৃথিবীতে যুক্তিগ্রাহ্য নয় এমন বিষয়ও যে ঘটে তা মরিয়মকে দেখেই আমি প্রথম বুঝতে পারি। অবিশ্যি এটা স্বীকার করে নেয়া ভালো যে- আজকের বিজ্ঞান যা ব্যাখ্যা করতে পারছে না আগামীদিনের বিজ্ঞান তা পারবে। হয়তো মরিয়মের ভবিষ্যৎ বলতে পারার যে-ক্ষমতাকে আমাদের কাছে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বলে মনে হচ্ছে, আসলে তা মোটেই নয়। হয়তো আগামীদিনের বিজ্ঞান সময়কে জয় করবে। তখন ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান বলে আলাদা কিছু থাকবে না। আমি লক্ষ করেছি খুব সহজে অধিকাংশ ভৌতিক অভিজ্ঞতারই লৌকিক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়। ছোটবেলায় আমি আমার নানুর কাছ থেকে তাঁর জীবনের একটা ভয়াবহ ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প শুনতাম। সেই সময় গল্প শুনে ভয়ে ও আতঙ্কে অস্থির হয়েছি। এখন মনে হচ্ছে আমার মাতামহীর অভিজ্ঞতার একটি সহজ ব্যাখ্যা আছে, সেই ব্যাখ্যা খুব খারাপ না। আবার কিছু-কিছু গল্প এমন যে তার কোনো ব্যাখ্যাই দাঁড় করানো যায় না। আমি নানানভাবে চেষ্টা করেও কিছু পাইনি। হয়তো আমার বুদ্ধিবৃত্তি তত উন্নত নয়। এইজাতীয় ঘটনার মুখোমুখি এলে থমকে দাঁড়ানো ছাড়া পথ নেই। আমি অনেকবার থমকে দাঁড়িয়েছি। আমার মনে হয়েছে আমাদের আলোকিত জগতের পাশাপাশি একটি অন্ধকার জগৎও আছে। সেই জগতের নিয়মকানুন ভিন্ন। আমি এই গল্প সংকলনে অন্ধকার জগতের কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছি। বেশির ভাগই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্প। কিছু বাইরের গল্পও আছে, তার মালমশলা আমার অতি প্রিয়জনদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা। মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য, কিংবা অন্য ভুবন সম্পর্কে কোনো ধারণা দেবার জন্যে গল্পগুলি দেখা হয়নি। লিখেছি এই পৃথিবীর রহস্যময় ব্যাপারগুলির দিকে ইঙ্গিত করার জন্য। লেখাগুলি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ না করার জন্যেই বলব। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ব্যাখ্যার অতীত কিছুই নেই। আমি ব্যাখ্যা করতে পারছি না, তা আমার অক্ষমতা, অন্য কেউ করবেন। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ছোটদের যত লেখা book cover
#248

ছোটদের যত লেখা

2009

ফ্ল্যাপে লিখা কথা \* তিনি ও সে \* বোকাভূ \* মজার ভূত \* তোমাদের জন্য রূপকথা \* নীল হাতী \* পরীর মেয়ে মেঘবতী \* চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু ভূমিকা আমার লেখালেখির বয়স ত্রিশ। ত্রিশ বছর ধরে লিখছি- গল্প, উপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী, ভূত-প্রেত বিষয়ক জটিলতা, শিশুতোষ রচনা। একজন যখন ত্রিশ বছর বিরতি ছাড়া লিখে যায় তখন একটা ব্যাপার ঘটে। শেষ বেলায় হিসাব মিলাতে গিয়ে সে ভড়কে যায়। ভুরু কুঁচকে ভাবে-এত লেখা কখন লিখলাম? আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটেছে শিশুতোষ রচনার একটি নির্বাচিত সংকলন বের করতে গিয়ে। খুবই অবাক হয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করেছি বাচ্চাদের জন্যে এত লেখা কখন লিখলাম? সংকলনের লেখাগুলি পড়েও আনন্দ পেয়েছি (এটা আমার একটা সমস্যা। নিজের লেখা পড়ে সব সময় আনন্দ পাই। বড় লেখকদের মত কখনোই মনে হয় না-কি সব ছাইপাশ লিখছি!) অনন্যা শিশুতোষ রচনার এই সংকলনটি- ‘ছোটদের যত লেখা’ বের করছে। তাদের ধন্যবাদ। তাদের কল্যাণে আবারো সেজেগুজে শিশুদের সামনে উপস্থিত হচ্ছি। বাহ ভালতো! হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী, গাজীপুর
তন্দ্রাবিলাস book cover
#249

তন্দ্রাবিলাস

2016

ফ্ল্যাপে লিখা কথা মিসির আলি তার খাতা বের করলেন। কেইজ নাম্বার দিয়ে ফারজানার নামে একটি ফাইল খোলা যেতে পারে। খাতার পাতায় ফারজানার নাম লিখতে গিয়ে মিসির আলি ইতস্তত করতে লাগবেন। ফাইল খোলার দরকার আছে কি?
দশজন book cover
#250

দশজন

2009

সূচি পত্র \* ইরিনা \* একি কাণ্ড \* আমার ছেলেবেলা \* এবং হিমু \* অনিল বাগচির একদিন \* বহুব্রীহি \* আমাদের সাদা বাড়ি \* নবনী \* বাঘবন্দি মিসির আলী \* কালো যাদুকর
দিঘির জলে কার ছায়া গো book cover
#251

দিঘির জলে কার ছায়া গো

2009

ফ্ল্যাপে লেখ কিছু কথা বুধবার হলো মুহিবের মিথ্যাদিবস। মিথ্যাদিবসে রাত এগারোটা উনষাট মিনিট পর্যন্ত সে মিথ্যা কথা বলে। তার এই ব্যাপারটা একজন শুধু জানে। সেই একজনের নাম লীলা। লীলার বয়স একুশ। সে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। অনার্স সেকেন্ড ইয়ার। বিষয় ইংরেজি সাহিত্য। লীলার সবই সুন্দর। চেহারা সুন্দর, চোখ সুন্দর, মাথার কোঁকড়ানো চুল সুন্দর। ক্লাসে তাঁর একটা নিক নেম আছে- সমুচা। এমন রূপবতী একটা মেয়ের নাম সমুচা কেন সেটা একটা রহস্য। নাম নিয়ে লীলার কোনো সমস্যা নেই। সে বন্ধুদের টেলিফোন করে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলে, আমি সমুচা বলছি। মুহিবের বয়স ত্রিশ। গায়ের রঙ কালো। বেশ কালো। কালো ছেলেদের ঝকঝকে সাদা দাঁত হয় মুহিবের দাঁত ঝকঝকে সাদা। পেপসোডেন্ট টুথপেস্ট কোম্পানি একবার তাকে টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনের জন্যে সিলেক্ট করেছিল। ডিরেক্টর সাহেব তাকে দেখে বললেন, এই ছেলের চেহারায় তো কোনো মায়া নেই। চোখ এক্সপ্রেশনসলেস।একে দিয়ে হবে না।
নির্বাচিত ভূতের গল্প book cover
#252

নির্বাচিত ভূতের গল্প

2009

ফ্ল্যাপে লিখা কথা হুমায়ূন আহমেদের পছন্দের কিছু ভূতের গল্প এই গ্রন্থে একত্রিত করা হয়েছে। ভূত বিষয়ে লেখকদের একটি লেখার অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করা হচ্ছে-এ থেকে ভূত প্রসঙ্গে লেখকের মনোভাব বোঝা যাবে- ”মিসির আলি সাহেবকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়-”আপনি ভূত বিশ্বাস করেন?” তিনি তৎক্ষণাৎ বলবেন-”না। যুক্তিতে ভূত আসে না।” হিমুকে এই প্রশ্ন করলে, হিমু বলবে-”অবশ্যই ভূত বিশ্বাস করি। যু্ক্তি শেষ কথা নয়-জগতের অনেক রহস্যই যুক্তির বাইরে।” এখন সমস্যা হচ্ছে মিসির আলি এবং হিমু দু’জনই আমার লেখার চরিত্র। তাহলে কি এই দাঁড়াচ্ছে যে আমি মানুষটা কখনো ভূত বিশ্বাস করছি, কখনো করছি না? তা কিন্তু না-ভূত-প্রেত, জ্বীন-পরীতে আমার বিশ্বাস নেই। গভীর রাতে যদি ছায়া ছায়া কোন মূর্তি এসে বলে, “আমি ভূঁত।” তবু বিশ্বাস করব না, ভাবব হেলুসিনেশন। দৃষ্টি বিভ্রম। তারপরেও কিন্তু ভাবতে ভাল লাগে যে আমাদের মত এরাও আছে, আমাদের চারপাশেই আছে। এদের নিয়ে লেখা গা ছমছমে গল্প পড়তে ভাল লাগে-এদের নিয়ে লিখতেও ভাল লাগে। এই কারণেই এদের নিয়ে লিখি। তবে একবার লেখা হয়ে গেল দ্বিতীয়বার আর পড়িনা। যেন এরা আমার অনাদরের সন্তান। জন্ম দিয়েই মুক্তি। লালন পালনের দায়িত্ব নেই। সূচিপত্র পাথর পিঁপড়া বৃহন্নলা সঙ্গিনী ছায়াসঙ্গী শবযাত্রা ওইজা বোর্ড সে দ্বিতীয় জন বেয়ারিং চিঠি বীণার অসুখ কুকুর ভয় গোবর বাবু আয়না
নির্বাসন book cover
#253

নির্বাসন

2009

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা আজ জরীর বিয়ে হচ্ছে এবং আশ্চর্য, সেই ছেলেটির সঙ্গেই। মাঝখানে একটি ভালোবাসার সবুজ পর্দা দুলছে ঠিকই, কিন্তু তাতে কী? জীবন বহতা নদী। একটি মুত্যু যুবকের জন্যে তার গতি কখনও থেমে যায় না। থেকে যাওয়া উচিত নয়।
প্রিয় ভয়ংকর book cover
#254

প্রিয় ভয়ংকর

2009

উপন্যাস \-যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ \-পোকা \-দি একসরসিস্ট \-আয়না ঘর \-আমি এবং আমরা \-দেবী \-পারুল এবং তিনটি কুকুর গল্প \-কুকুর \-ভয় \-শবযাত্রা \-আয়না \-ছায়াসঙ্গী \-জ্বীন কফিল \-দ্বিতীয় জন \-সে
প্রিয় পদরেখা book cover
#255

প্রিয় পদরেখা

2009

প্রিয়পদরেখা গ্রন্থে আমার লেখা প্রেমের গল্পগুলি আলাদা করা হয়েছে। পাঠকদের বিনীতভাবে বলছি-প্রেমের গল্প আমি লিখতে পারি না। লেখার চেষ্টাও সেভাবে কখনো করি নি। প্রেমের মতো শুদ্ধ ও পবিত্র বিষয় নিয়ে লেখা অতি কঠিন কর্মের একটি। প্রেম ব্যাপারটা এখনো বুঝে উঠতে পারি নি। যখন কিছু বুঝব তখন প্রেমের গল্প লেখার ইচ্ছা আছে। বইটার নাম দেব-‘এসো নীপ বনে’। হুমায়ূন আহমেদ সূচিপত্র \রূপা \একটি নীল বোতাম \কল্যাণীয়াসু \দ্বিতীয় জন \চোখ \একজন ক্রীতদাস \সঙ্গিনী \শঙ্খমালা \অচিন বৃক্ষ \নিশিকাব্য \ভালোবাসার গল্প \নন্দিনী \গোপন কথা \লিপি \সম্পর্ক \পিশাচ \*বিভ্রম
বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল book cover
#257

বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল

2009

বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান। মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার । আজ এন দিলে, হয়তো দিবে না কাল রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল। এ গান আমার শ্রাবণে তব বিস্মৃতিস্রোতের প্লাবনে ফিরিয়া ফিরিয়া আসিবে তরণী বহি তব সম্মান।
মানবী book cover
#262

মানবী

2009

ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ I hear a sudden cry of pain! There is a rabbit in a snare: Now I hear the cry again, But i cannot tell from where. But i cannot tell from where He is calling out for aid; Crying of the frightened air, Making everything afraid. Making everything afraid, Wrinkling up his little face. As he cries again for aid; And i cannot find the place! And i cannot find the place Where his paw is in the snare; Little one! Oh, little one! I am searching everywhere. JAMES STEPHENS
মিসির আলি! আপনি কোথায়? book cover
#263

মিসির আলি! আপনি কোথায়?

2009

ফ্ল্যাপে লিখা কথা মিসির আলির ক্লাসের বক্তৃতার অংশ ”একজন মানুষ সারাদিনে কতগুলি শব্দ ব্যবহার করে জান? ষোল হাজার শব্দ। একটা বিড়াল দিনে দশ বারোটার বেশি শব্দ করতে পারে না। যদিও তার মুল আবেগ মানুষের মতই। আমরা বিড়ালকে আবেগশূন্য প্রাণী মনে করি। কেন মনে করি জান? মনে করি কারণ বেচারার ভুরু নেই। তোমরা মনে রেখো আমরা এবং অনুভূতি প্রকাশের জন্যে সবসময় ভুরু ব্যবহার করি। এখন বলতো এই গ্রন্থের অতি বিখ্যাত এক মহিলার ভুরু নেই। তিনি তাঁর আবেগ বিড়ালের মতই প্রকাশ করতে পারেন না। বল তার নাম কি? “মোনালিসা!” ভাল করে ছবিটা দেখ। বিড়ালের মত আবেগশূন্য মোনালিসা কিন্তু পৃথিবীর মানুষদের আবেগ ধারণ করছে। কে হাত তুলব? তুমি? বল কি বলবে?
সে ও নর্তকী book cover
#266

সে ও নর্তকী

1995

ফ্ল্যাপে লিখা কথা স্বাতী ভেবে রেখেছিল সে তার জন্মদিনে লিলিকে ব্যাপারটা বলবে। ভয়ংকর অন্যায় যে সে করেছে সে-ব্যাপারটা। লিলি আতঙ্কে শাদা হয়ে যাবে। পরপর কয়েকবার বলবে, এখন কী হবে রে। নিজের আতঙ্ক অন্যের ভেতর দেখলে নিজের আতঙ্ক খানিকটা কমে। স্বাতী খানিকটা স্বস্তি পাবে। এবং কিছুটা সাহসও পাবে। সেই সাহসটা পাবার পর স্বাতী ব্যাপারটা তার মা’কে বলতে পারবে।
হিমুর মধ্যদুপুর book cover
#269

হিমুর মধ্যদুপুর

2009

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা মধ্যদুপুর বড়ই আশ্চর্য সময়। তখন ‘ভূতে মারে ঢিল্।’ এবং অদ্ভত কোনো কারণে কিছু সময়ের জন্য আকাশটা আয়না হয়ে যায়। হিমু হাঁটতে বের হয়েছে মধ্যদুপুরে। তার হাতে ছোট্ট একটা দুপুরমনি গাছের চারা। সেখানে চার পাঁচটা ফুল। এখনো ফোটেনি। মধ্যদুপুরে ফুটবে। হিমু ফুল ফোটার সঙ্গেসঙ্গে আকাশের দিকে তাকাবে। নিজেকে দেখার চেষ্টা করবে আকাশ আয়নায়।
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ৩ book cover
#282

হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ৩

2010

উপন্যাস একা একা প্রথম প্রহর আমার আছে জল ১৯৭১ ফেরা ছোটগল্প শীত ও অন্যান্য গল্প সায়েন্স ফিকশন ইরিনা উপাখ্যানমালা: হিমু ময়ূরাক্ষী নাটক মহাপুরুষ
ম্যাজিক মুনশি book cover
#283

ম্যাজিক মুনশি

2009

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ স্যার, আসব ? আমি চমকে তাকালাম। দরজার সামনে যিনি দাঁড়িয়ে তিনিই যে ম্যাজিক মুনশি তাতে সন্দেহ রইল না। মুখভর্তি দাড়িগোঁফ। মুনশি মাওলানারা দাড়ি রাখেন। গোঁফ রাখেন না। পানি পান করার সময় গোঁফ পানি স্পর্শ করলে পানি নষ্ট (বা হারাম) হয়ে য়ায়, এই কথা প্রচলিত। যদিও হজরত আলী (রাঃ)- এর গালপাট্টা ছিল। গোঁফ ছিল, দাড়িও ছিল। দরজার সামনে যিনি দাড়িয়ে আছেন তার মাথার চুল গ্রামের বয়াতিদের মতো লম্বা। মধ্যবয়স্ক মানুষ। অত্যন্ত সুপুরুষ। চোখের তারা ঘন কালো। চোখ যক্ষা রোগীর মতো ঝকঝক করছে। তবে মানুষটির যক্ষা নেই। খাকলে খুখখুক কাশি শুনতাম। মুনশি সাহেব সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরেছেন। নবীজী (দঃ) সবুজ রঙ পছন্দ করতেন। তাঁর মাথার পাগড়ি ছিল সবুজ। ম্যাজিক মুনশির সবুজ পাঞ্জাবির পেছনে নবীজীর (দঃ) পছন্দের রঙ কাজ করতে পারে। তিন পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গি পরেছেন। লুঙ্গির রঙ ধবধবে সাদা। পায়ে খড়ম। বিশেষ ধরনের খড়ম। ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই খড়মকে বলে ‘বউলাওয়ালা খড়ম’ । আপনিই কি ম্যাজিক মুনিশি ? ভূমিকাঃ ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কি উপন্যাস বলা যাবে? উপন্যাস বললে প্রকাশকের সুবিধা হয়। পাঠকরা উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন। সমস্যা হচ্ছে ‘ম্যাজিক মুনশি’কে কোনো পর্যায়েই ফেলা যাচ্ছে না। ‘ম্যাজিক মুনশি’ হলো রহস্যময়তার বর্ণনা এবং কিছুটা বিশ্লেষণ। উপন্যাসের কাঠামো অবশ্যি ব্যবহার করা হয়েছে। এই লেখায় আমি কাউকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছি না। আমি নিজে বিভ্রান্ত মানুষ কোনোকালেই ছিলাম না, কাজেই নিজের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তবে আমি সচেতনভাবেই জগতের রহস্যময়তার প্রতি ইঙ্গিত করেছি। এই অধিকার আমার আছে। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ‘ম্যাজিক মুনশি’ বইটির দু’বার পড়বেন। প্রথমপাঠের অস্পষ্ট বিষয়গুলি দ্বিতীয়পাঠে স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। বইয়ের বর্ণিত কৃষ্ণশক্তি আহবানে ধারেকাছেও কেউ যাবেন না। মানব মস্তিষ্ক অতি বিচিত্র কারণে সাজেশনে বশীভূত। ‘Trance' অবস্থায় মস্তিষ্কের বিচিত্র কার্যকলাপের দিকে যেতে পারে। অকারণ হেলুসিনেশনের শিকার হওয়া হবে বিরাট মূর্খামি। হুমায়ূন আহমেদ নহাশপল্লী
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ৪ book cover
#285

হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী ৪

2010

উপন্যাস আগুনের পরশমণি দূরে কোথায় অরণ্য ভ্রমণোপাখ্যান হোটেল গ্রেভার ইন আখ্যানমালা : মিসির আলি নিশীথিনী কিশোর উপন্যাস সূর্যের দিন রম্য এলেবেলে
একটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখি book cover
#288

একটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখি

2011

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.
পুফি book cover
#289

পুফি

2011

একটা ধবধবে সাদা বিড়াল। লেজটা কুচকুচে কালো। অন্য বিড়ালদের সাথে তার কোন তফাৎ নেই। সে আরাম করে সোফায় শুয়ে ঘুমায়। হাই তুলতে তুলতে টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। তার প্রিয় সিরিয়াল "ইহা মে ঘর ঘর খেলি।" বিড়ালটার একটাই সমস্যা, ক্যামেরায় তার ছবি আসে উলটা, মিরর ইমেজ।

Author

Humayun Ahmed
Humayun Ahmed
Author · 274 books

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s. Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country. Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction. Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production. Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters—Nova, Sheela, Bipasha and one son—Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons—Nishad and Ninit. Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

548 Market St PMB 65688, San Francisco California 94104-5401 USA
© 2025 Paratext Inc. All rights reserved